ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাটকীয় জয়ের ম্যাচে সাকিবের জরিমানা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৮ মার্চ ২০১৮

নাটকীয় জয়ের ম্যাচে সাকিবের জরিমানা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটি খেলতে শ্রীলঙ্কায় গেলেন সাকিব আল হাসান। দলকে অনুপ্রাণিত করলেন। উজ্জীবিত করলেন। দলের নেতৃত্বও দিলেন। বাউন্সকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হলেন। তাতে জরিমানাও গুনলেন। ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা হলো সাকিবের। সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও পেলেন। শুধু সাকিবই নন, মাঠে উত্তেজিত হওয়া নুরুল হাসান সোহানেরও একই জরিমানা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়ের ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙ্গার জন্য শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান। ২০১৬ সালে ডিমেরিট পয়েন্ট চালু হওয়ার পর এই প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন তারা। আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে দুই ব্যাটসম্যানকে বেরিয়ে আসতে ইশারা দিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলের বেঞ্চে থাকা নুরুল হাসান লঙ্কানদের বেশ ক’জনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরার দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। শনিবার সকালে সাকিব আর নুরুল দু’জনই ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের শাস্তি মেনে নেয়ায় কোন আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। শুক্রবারের ঘটনা হতাশাজনক উল্লেখ করে ব্রড জানান, কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের এই ধরনের আচরণ কাম্য নয়। যদি চতুর্থ আম্পায়ার সাকিব ও তীব্র প্রতিবাদ করা ফিল্ডারদের না থামাতেন আর মাঠের আম্পায়াররা নুরুল ও থিসারার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করতেন তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। ঘটনার শুরু ম্যাচের শেষ ওভারে। জয়ের জন্য সেই ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২ রান। ইসুরু উদানার প্রথম বলটি ছিল বাউন্সার। রান নিতে পারেননি মুস্তাফিজ। পরের বলও বাউন্সার, আবারও রান নেই। মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রানআউট মুস্তাফিজ। টি২০তে ওভারে সর্বোচ্চ একটি বল কাঁধের ওপর দিয়ে করা যায়। মুস্তাফিজ যখন ফিরছেন, মাহমুদুল্লাহ লেগ আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ‘নো’ বলের সঙ্কেত দেন। এবার প্রতিবাদ করেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। তারা আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন। লেগ আম্পায়ার গিয়ে মূল আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো’ তুলে নেন। এবার প্রতিবাদ করেন মাহমুদুল্লাহ। মাঠের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাকিব। চতুর্থ আম্পায়ার তাকে বারবার আটকাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এর মাঝেই সাকিব ইশারা দেন দলের কম্পিউটার এ্যানালিস্টকে। তিনি রিপ্লে দেখে সাকিবকে জানান বল কাঁধের ওপর ছিল। এবার সাকিবের সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলের সবাই। আম্পায়াররা নো বল দিতে রাজি নন। সাকিব ইশারায় দুই ব্যাটসম্যানকে ডেকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেন। মাহমুদুল্লাহ ও রুবেল মাঠের বাইরে প্রায় চলেই গিয়েছিলেন। দুই দলের অন্য ক্রিকেটারদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। তখন ঠা া মাথায় পরিস্থিতি সামলান ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। ব্যাটসম্যানদের বলেন, খেলা চালিয়ে যেতে। সাকিব ক্ষোভ নিয়ে ঢুকে যান ড্রেসিং রুমে। সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহর বীরত্বে আসে অসাধারণ জয়। সাকিবের ও সোহানের এমন আচরণে জরিমানা হয়েছে।
×