ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ফুটবল

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৮ মার্চ ২০১৮

আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ফুটবল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যে কোন ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে হলে প্রয়োজন আধুনিকতার। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) এই পথে হাঁটতে চায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফর করে গেছেন এএফসির দুই কর্মকর্তা যোগেশ দেশাই ও দোমেকা গ্রামান্দি। তাদের চোখে ধরা পড়েছে এদেশের ফুটবলের নানা অসঙ্গতি-সমস্যা। এ থেকে উত্তরণের জন্য তারা দিয়ে গেছেন নানা দিক-নির্দেশনা। সেই সঙ্গে দিয়েছেন সব ধরনের সহায়তাও। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফুটবল জাতীয় দলের ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচারের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে মাইকুজু কোম্পানি। যদিও ফুটবলের ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা নতুন কিছু নয় বাংলাদেশের জন্য। গত দুই মৌসুম ধরেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ম্যাচগুলো ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করে আসছে বাফুফে। যাদের সহায়তা করেছে ব্লু লাইন কমিউনিকেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রিমিয়ার লীগের প্রায় সব ম্যাচ সম্প্রচার করলেও তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ছিল দর্শকদের। যেমন সম্পূর্ণ খেলা সম্প্রচার করা হয় না, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিন লাইভ বন্ধ রাখা। তবে তাদের ম্যাচ লাইভগুলো যথেষ্ট ভালমানেরই ছিল। কিন্তু ওই সমস্যাগুলোর কারণেই দর্শকদের এই বিরক্তি-অভিযোগ। এবার বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে মাইকুজু নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জাতীয় দলের ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করার দায়িত্ব নিয়েছে তারা। ম্যাচগুলো বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি দেখতে পাবেন দর্শকরা। এদিকে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে জাতীয় দলকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে। আধুনিক ফুটবলে পরিচিত জিপিএস সিস্টেম। অনুশীলন কিংবা ম্যাচে ফুটবলারদের গতি, দূরত্বও স্প্রিন্ট ট্র্যাকিং পরিমাপে বড় ভূমিকা রাখছে এই প্রযুক্তি। পারফর্মেন্স মূল্যায়নে বিশ্বের প্রায় সব ক্লাব ও জাতীয় দলের কোচদের কাছে জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে জিপিএস। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দল এর আগে কখনও এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। এমনকি দেশের ক্লাবগুলোও পরিচিত ছিল না এই প্রযুক্তির সঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম বাংলাদেশী ক্লাব হিসেবে জিপিএস ব্যবহার করে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। দেশের প্রথম ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হকের চাহিদা অনুযায়ী এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা করেছিলেন ক্লাব সভাপতি। যার সুফলও স্বাধীনতা কাপে পেয়েছে ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হয়ে। জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেমের সুবিধা পেতে বাফুফের আবেদনে সাড়া দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। জাতীয় দলের জন্য জিপিএস প্রযুক্তি দিচ্ছে তারা। ফুটবলে প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। জাতীয় দল ও ক্লাবগুলোর কাছে জিপিএস সিস্টেম এখনও বিস্ময়ের নাম। অবশেষে জিপিএস রাডারে নিয়ে আসা হচ্ছে ফুটবলারদের।
×