ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৮ মার্চ ২০১৮

ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য

হাজার বছরের ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বাঙালীর সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শিল্পীর তৈরি ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভে স্থান পেয়েছে। উত্তর প্রজন্মের কাছে ইতিহাস-স্বাধীনতার চেতনা ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নানান ভাস্কর্য। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্যগুলোর কথা জানাচ্ছেন-মাঈন উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলা ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের ভাস্কর্য শুধুই ভাস্কর্য নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ ও আক্রমণে পাক বাহিনী পরাজিত হয়। সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের প্রতীকী চিহ্নই ‘অপরাজেয় বাংলা’। ১৯৭২-৭৩ সালে ডাকসুর ভিপি ছিলেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস মাহবুব জামান। স্বাধীনতার স্বাদ ও ঘ্রাণ তখনও ক্যাম্পাস থেকে মুছে যায়নি। এ সময় ডাকসুর উদ্যোগে অপরাজেয় বাংলার কাজে হাত দেয়া হয়। এর তিনটি মূর্তির একটির ডান হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে রাইফেলের বেল্ট ধরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এর চোখেমুখে স্বাধীনতার চেতনা। এ ভাস্কর্যের মডেল ছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম বেনু। থ্রি নট থ্রি রাইফেল হাতে সাবলীল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো অপর মূর্তির মডেল ছিলেন সৈয়দ হামিদ মকসুদ ফজলে। আর নারী মূর্তির মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ। ১৯৭৫ সালের পর অনেকদিন অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পূর্ণোদ্যমে অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। তবে অপরাজেয় বাংলার কাছে ভাস্করের নাম খচিত কোন শিলালিপি নেই। স্বাধীনতার এ প্রতীক তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন গুণী শিল্পী ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের বেদিতে দাঁড়ানো তিন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি যেন অন্যায় ও বৈষম্য দূর করে দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার গান গাইছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এ ভাস্কর্যে সব শ্রেণীর যোদ্ধার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। মাটি থেকে ১৮ ফুট উঁচু এ ভাস্কর্য এখনও বাংলাদেশের সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রধান কেন্দ্র। স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পশ্চিম পাশে ডাসের পেছনে অবস্থিত এ ভাস্কর্য অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা যোগায়। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এটি একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদারের অত্যাচারের একটি খ-চিত্র। ১৯৮৭ সালের ১০ নবেম্বর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ এটি উদ্বোধন করা হয়। এটি গড়েছেন কীর্তিমান ভাস্কর শামীম সিকদার। এটির চৌকো বেদির ওপর মূল ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু পতাকা ওড়ানো বাঙালী যে রক্ত দিয়েছে, সয়েছে নির্যাতন, তার কিছু খ-চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর আরেক পাশে চিত্রিত হয়েছে ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতনের চেহারা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। ‘স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য’ নামেই পরিচিত এটি। খ্যাতিমান শিল্পী মুর্তজা বশির একক প্রচেষ্টায় এ ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। ৪টি আবাবিল পাখির প্রতীকী নির্মাণে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন বাঙালী জাতির ৬ দফা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্রমধারা। পাখির ডানায় একুশটি পাথরের টুকরোয় লিপিবদ্ধ আছে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনের কাহিনী। ভাস্কর্যটির মূলভিত্তি রচিত হয়েছে জাতীয় ফুল শাপলার ওপর। এর কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। শিল্পী মুর্তজা বশির তখন চবির চারুকলা বিভাগে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এটি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীদের হুমকির মুখে এটি শেষ পর্যন্ত কলা অনুষদের সামনেই স্থাপন করা হয়। বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ ॥ দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ পর্যায়ে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে হানাদার বাহিনী। দেশকে মেধাশূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে রাজাকার-আলবদররা। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মাণ করা হয় এ স্মৃতিস্তম্ভ। প্রথিতযশা শিল্পী রশিদ চৌধুরী এর নকশা প্রণয়ন করেন। বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৮৫ সালে। কেরন গাছের পরিবেষ্টনে চত্বরটি বর্তমানে বিভিন্ন উৎসবের মিলনকেন্দ্র। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ‘স্মরণ’ ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধে চবি পরিবারের ১৫ জন জীবন দান করেন। তাঁদের মধ্যে সাতজনের স্মৃতি রক্ষার্থে গত বছরের ৫ নবেম্বরে চবির প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মরণ’। যাঁদের স্মরণে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে- মুক্তিযুদ্ধে চবি থেকে একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত বীরপ্রতীক শহীদ মোঃ হোসেন, প্রকৌশল দফতরের প্রভাত কুমার বড়ুয়া, চাকসু জিএস ইতিহাস বিভাগের ছাত্র শহীদ আবদুর রব, একই বিভাগের ছাত্র ফরহাদ-উদ-দৌলা, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতির নাজিম উদ্দিন খান এবং প্রহরী সৈয়দ আহমদ। স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মরণ’-এর শিল্পী হচ্ছেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল কবীর। বিজয়ের গৌরবগাথা ‘স্বাধীনতা স্মৃতি’ ॥ বাঙালী জাতির বিজয় অর্জনের ধারাবাহিক ইতিহাস বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটি ম্যুরাল চিত্র। ‘স্বাধীনতা স্মৃতি’ শীর্ষক ম্যুরালটির উন্মোচন হয় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ। প্রথম ম্যুরালের উপরের অংশে আছে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং নিচে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের চিত্র, আসাদের রক্তমাখা শার্ট, শোকের কালো পতাকা এবং শোকাহত মানুষের ঢল। এছাড়া বাকি চারটি ম্যুরালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরেন শিল্পী সাইফুল কবীর। কলা অনুষদের সামনে স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে ম্যুরালটি তৈরি করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাবাশ বাংলাদেশ। ‘শাবাশ বাংলাদেশ-এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়’। ‘শাবাশ বাংলাদেশ’ নামের একটি অসাধারণ ভাস্কর্যে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ওই কটি লাইন আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরিয়ে নিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হায়েনাদের কবল থেকে রক্ষা পায়নি উত্তরাঞ্চলের প্রধান বিদ্যাপীঠ। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে মতিহারের এই সবুজ চত্বর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক-ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করা হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর ফলক উন্মোচন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে ৪০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে, যেখানে রয়েছে দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি। একজন রাইফেল উঁচু করে দাঁড়িয়ে আর তার বাঁ বাহুটি মুষ্টিবদ্ধ করে জাগানো। অন্যজন রাইফেল হাতে দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছে; যার পরনে প্যান্ট, মাথায় এলোমেলো চুলের প্রাচুর্য যা কিনা আধুনিক সভ্যতার প্রতীক। এ দু’জন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে ৩৬ ফুট উঁচু একটি দেয়ালও দাঁড়িয়ে আছে। দেয়ালের উপরের দিকে রয়েছে একটি শূন্য বৃত্ত, যা দেখতে সূর্যের মতোই। ভাস্কর্যটির নিচের দিকে ডান ও বাম উভয় পাশে ৬ ফুট বাই ৫ ফুট উঁচু দুটি ভিন্ন চিত্র খোদাই করা হয়েছে। ডানদিকের দেয়ালে রয়েছে দু’জন যুবক-যুবতী। যুবকের কাঁধে রাইফেল, মুখে কালো দাড়ি, কোমরে গামছা বাঁধা, যেন বাউল। আর যুবতীর হাতে একতারা। গাছের নিচে মহিলা বাউলের ডান হাত বাউলের বুকে বাম দিকের দেয়ালে রয়েছে মায়ের কোলে শিশু, দু’জন যুবতী একজনের হাতে পতাকা। পতাকার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গেঞ্জি পরা এক কিশোর। শিল্পী নতুন কুরি তার মনতুলি দিয়ে এমনভাবে ভাস্কর্যটি চিত্রিত করেছেন দেখলে মনে হয় যেন ১৯৭১ সালেরই অর্জিত স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি। এ যেন আন্দোলনের নীরব প্রেরণা। যেখানে ফুটে উঠেছে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য আর বাঙালীর দেশপ্রেম। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় ’৭১ ॥ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিসংগ্রামে বাংলার সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মূর্ত প্রতীক হয়ে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘বিজয় ‘৭১।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ‘বিজয় ’৭১’। ভাস্কর্যে একজন নারী, একজন কৃষক ও একজন ছাত্র মুুক্তিযোদ্ধার নজরকাড়া ভঙ্গিমা বার বার মুুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোতে নিয়ে যায় দর্শনার্থীদের। একজন কৃষক মুুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরেছে আকাশের দিকে। তার ডান পাশেই শাশ্বত বাংলার সর্বস্বত্যাগী ও সংগ্রামী নারী দৃঢ়চিত্তে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন। যার সঙ্গে আছে রাইফেল। অন্যদিকে একজন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে গ্রেনেড ছোড়ার ভঙ্গিমায় বাম হাতে রাইফেল নিয়ে তেজোদীপ্তচিত্তে দাঁড়িয়ে। বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী শ্যামল চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ‘বিজয় ’৭১’ ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ ২০০০ সালের জুন মাসে শেষ হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টাকা। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা ইতিহাস সম্বন্ধে দর্শনার্থীদের কিঞ্চিত ধারণা দেয় এই ভাস্কর্য। আর তাই বিজয় ’৭১ ভাস্কর্য দেখতে প্রতিদিন অগণিত মানুষ ক্যাম্পাসে ভিড় জমায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংশপ্তক ॥ ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ আর সে যুদ্ধে অংশ নেয়া বীর সন্তানদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্মাণ করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি। যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যায় যে অকুতোভয় বীর সেই সংশপ্তক। মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীরদের স্মরণে নির্মাণ করা হয় এটি। এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্যটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছে দেশমাতৃকার বীরসন্তান। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করাই যাদের স্বপ্ন, শত্রুর বুলেটের সামনেও জীবন তাদের তুচ্ছ। ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ এটি নির্মাণ করা হয়। ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান।
×