ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল ট্রাজেডি

১৭ বাংলাদেশীর লাশ শনাক্ত

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৮ মার্চ ২০১৮

১৭ বাংলাদেশীর লাশ শনাক্ত

বিডিনিউজ ॥ নেপালের রাজধানী কাঠমা-ুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত বাংলাদেশীদের মধ্যে ১৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনরা শনিবার তাদের লাশ শনাক্ত করেছেন বলে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মৃতদেহ মঙ্গলবার থেকে দেশে পাঠানো হবে।’ এই ১৭ জনের মধ্যে পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মোঃ শফি রয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, মোসাম্মৎ আখতারা বেগম, মোঃ রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, মোঃ হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, শিশু তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মোঃ মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভীন শশী রেজা, শিশু অনিরুদ্ধ জামান, মোঃ নুরুজ্জামান ও মোঃ রফিকুজ্জামান। বৃহস্পতিবার রাতে শনাক্ত হওয়া ১৭ জনের এই তালিকা দিয়েছে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস। গত সোমবার কাঠমা-ুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশী। নিহত বাকি বাংলাদেশীদেরও একইভাবে শনাক্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত মাশফি। তিনি বলেন, ‘যাদের কোনভাবেই শনাক্ত করা যাবে না, তাদের ক্ষেত্রে স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। সেই সময়টা মৃতদেহ নেপালেই থাকবে।’ দুর্ঘটনার পরদিনই হতাহতদের স্বজনদের নেপাল নিয়েছিল ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। তবে এতদিন তারা নিহতদের লাশ দেখতে পারেননি। শুক্রবার সবার ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর শনিবার লাশ শনাক্ত শুরু হয়। ১৭ বাংলাদেশী ছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় নিহত ১০ নেপালী ও এক চীনা নাগরিকের লাশ শনাক্ত হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। উড়োজাহাজে আগুন ধরে নিহতদের কয়েকজনের দেহ খুব বেশি পুড়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করতে স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে নিতে হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সে অনুসারে ডিএনএ নমুনা দেয়ার জন্য রবিবার ঢাকার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে স্বজনদের যেতে বলা হয়েছে।
×