ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় খ্রীস্টান মিশনে অনিয়ম ॥ ডিসিকে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১৯ মার্চ ২০১৮

বগুড়ায় খ্রীস্টান মিশনে অনিয়ম ॥ ডিসিকে স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ মানবসেবার শত বছরের সুনাম অর্জনকারী উত্তরাঞ্চলের বড় প্রতিষ্ঠান বগুড়ার ‘চার্চেস অব গড মিশনের (বগুড়া খ্রীস্টান মিশন নামে অধিক পরিচিত) এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সম্মিলিত মিশন কর্মচারী ও বিভিন্ন চার্চের সদস্যগণ। তারা রবিবার দুপুরে বগুড়া নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করার পর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের প্রধান অভিযোগ চার্চেস অব গড মিশনের পরিচালক ফিল্ড ডিরেক্টর উত্তম দেওয়ানের বিরুদ্ধে। প্রায় ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালে তিনি যোগদানের পর হতে স্বজনপ্রীতি, আত্তীকরণ, চাকরিচ্যুতি, মানসিক নির্যাতন, বিদায়ী কর্মীদের পাওনাদি সময়মতো নিষ্পত্তি না করে হয়রানিসহ নানা ধরনের অনিয়ম করে আসছেন। যা মিশনের বিধিমালার পরিপন্থী। তিনি জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর মিশন চক্ষু ক্লিনিকের ডাঃ জন কস্তা ও ক্যাশিয়ার বিমল পালের যোগসাজশে মিশন প্রতিষ্ঠানের বেহাল অবস্থা করেছেন। চার্চেস অব গডের প্রধান কার্যালয় বগুড়া নগরীর সূত্রাপুর এলাকায়। যা ৮টি জেলায় কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পদবি ফিল্ড ডিরেক্টর। কর্মচারীদের অভিযোগ, ফিল্ড ডিরেক্টর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমে ধস নেমেছে। এই অবস্থার অবসান না হয়ে প্রতিষ্ঠানটি টিকে না থাকলে ৫শ’ পরিবারে নেমে আসবে অন্ধকার। এইসব পরিবারের মধ্যে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্য ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে যা বলা হয়েছে তার সারাংশ হলো, ফিল্ড অফিসার উত্তম দেওয়ান যোগদানের পর হতে প্রতিষ্ঠানর চাকরিবিধি ভঙ্গ করে নিজের স্বজনদের চাকরি দেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন। তার স্বেছাচারিতার কারণে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তিনি বগুড়া ও খঞ্জনপুর হাসপাতালের দায়িত্ব জোর করে নেয়ার অভিপ্রায়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ দক্ষ কর্মীদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ ও মানসিক নির্যাতন করলে তারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যান। তিনি আদিবাসীদের প্রতি বৈষম্য দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করেন। গত ৫ বছরে দাতা সংস্থা প্রায় ৩৬ কোটি টাকা দিয়েছে। যার বড় একটি অংশ নয়ছয় হয়েছে। নিরপেক্ষ অডিট করলে থলের বেড়াল বের হয়ে যাবে। ২০১৫ সালে তিনি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়মের কারণে রাজশাহী বোর্ড তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং স্কুল সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কৃৃত হন।
×