ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১ কি.মি.

পাউবোর বাঁধ ধসে ৩ শ’ মিটার বলেশ্বর নদীতে বিলীন

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১৯ মার্চ ২০১৮

 পাউবোর বাঁধ ধসে ৩ শ’  মিটার বলেশ্বর  নদীতে বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলা উপজেলার সাউথখালিতে রবিবার ভোররাত থেকে বিকেল পর্যন্ত উপকূলীয় বেড়িবাঁধের প্রায় ৩ শ’ মিটার এলাকা বলেশ্বর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরও অর্ধ-কিলোমিটার বাঁধে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন উপকূলীয় বাঁধ রক্ষা প্রকল্পের ৩৫/১ পোল্ডারের বগি অংশে এ ধসের ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গনের মুখে এখানে সাউথখালী ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এছাড়া, বগি বন্দর থেকে আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত আরও প্রায় এক কিলোমিটার বাঁধের অন্তত ১০টি পয়েন্টে ছোটবড় ফাটল ধরেছে। বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বাঁধের এসব ঝুঁকিপূর্ণ অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হলে সাউথখালী ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির হতে পারে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কাজ চলমান থাকার মধ্যে বাঁধের এমন ভয়াবহ ভাঙনে এলাকাবাসী আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কোস্টাল হেন্নান ওয়াটার ইম্প্রুভমেন্ট (সিএইচডব্লিউই) নামের চায়নার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ টেকসই বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে। এখনও বাঁধের বড় বড় খ- ধসে পড়ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ নদীতে ধসে গেছে। ওই পয়েন্টে সম্পূর্ণ বিলীন হতে সামান্য বাকি আছে। আরও প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ ফাটল ধরেছে। বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রুস্তুম আলী, শাহজাহান হাওলাদার, তাছেন উদ্দিন হাওলাদার, আবু তালেব, ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, ভোর ৫টার দিকে বাঁধের বিশাল অংশ দেবে যায়। ভাঙনের শব্দে বাঁধের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাঁধের ভেতরের পাশেও বিশাল এলাকা নিয়ে ফাটল ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে ২/১ দিনের মধ্যেই সস্পূর্ণ বাঁধ বিলীন হতে পারে। এতে বগি, চালিতাবুনিয়া, খুড়িয়াখালী, দক্ষিণ সাউথখালীসহ ৪/৫টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়িসহ মাছের ঘের, পুকুর, ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় এ এলাকার মানুষ একটু স্বস্তি ফিরেছিল। নদী শাসন না করেই বঁাঁধ নির্মাণ করায় ঝুঁকি থাকছে। একদিকে নির্মাণ কাজ চলছে, আরেক দিক থেকে ধসে পড়ছে। বাঁধ টেকসই করতে হলে আগে ব্লক ডাম্পিং করে নদী শাসন করতে হবে বলে তারা মনে করেন। নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপকূলীয় বাঁধ রক্ষা প্রকল্পের (সিইআইপি) সুপারভেশন ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল দত্ত জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত রিং বাঁধ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। নদী শাসনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
×