ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০১:০২, ১৯ মার্চ ২০১৮

আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা সম্পন্ন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির জানাজা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক। এর আগে ২৩ জনের মরদেহের কফিন ১৯টি মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিকেল ৫টায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে মরদেহগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টার্মিনালে অবতরণ করে মরদেহবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি। মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাদের মরদেহ আনা হয়েছে- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান। এখনও তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ শনাক্তের পর দেশে আনা হবে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহের কফিনগুলো সরাসরি আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হবে। নিহতদের দেশে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। এর আগে নেপালে তাদের জানাজা হয়। আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূর ইসলাম বলেন, জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।
×