স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদীতে গত বিশ দিনে কেজি প্রতি ৭৪ টাকা রড ও বস্তা প্রতি সিমেন্টের দাম বেড়েছে ৯০-১০০ টাকা। একই সাথে পরিবহণ খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে অধিক হারে। এ কারণে বর্তমানে ঈশ্বরদীতে বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বেশিরভাগ উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। দাম বেশী হওয়া ও সরবরাহ না থাকায় সিমেন্ট ও রডের প্রায় ২০ ডিলার এবং ২৪৭ খুচরা ব্যবসায়ী কপালে হাত তুলে বসে আছেন। বিদেশী ক্লিংকার আমদানীতে সমস্যা,ফ্যাক্টরী মালিক পক্ষের সিন্ডিকেড করে চাহিদানুযায়ী সরবরাহ না করে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানোর কারণে ব্যবসায়ীদের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সিমেন্ট ও রডের ঈশ্বরদীস্থ বিভিন্ন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদেও অভিযোগ সুত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূতমতে,দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী এলাকায় প্রতিদিন ১৫ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট ও ৩০ মেঃটন রডের চাহিদা রয়েছে। ২০ দিন আগেও ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এ পরিমাণ সিমেন্ট ও রড সরবরাহ নিয়ে গ্রাহকদের নিকট তাদের চাহিদামত বিক্রি করতো। গ্রাহকরাও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থেকে তাদের চাহিদামত রড ও সিমেন্ট কিনে বাড়িঘর সহ নানা কাজ করতো। একইভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে জড়িতরাও তাদের উন্নয়ন মূলক কাজ চালিয়ে যেত। কিন্তু গত ২০ দিন থেকে সে কাজ করা আর সম্ভব হচ্ছেনা শুধুমাত্র দাম বাড়ার কারণে। সূত্রমতে,বর্তমানে ঈশ্বরদীতে রড সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এবং ১৫ হাজার ব্যাগ সিমেন্টের চাহিদার অনুকুলে মাত্র ১৫’শ ব্যাগ সিমেন্ট সরবরাহ রয়েছে। সিমেন্ট ও রডের ডিলার পুলক ফকির জানান,বর্তমানে রডের কোন ডিও সরবরাহ নেই। কেবলমাত্র আগে থেকে যাদেও ডিও করা রয়েছে তাদেরই কেউ কেউ কিছু কিছু সিমেন্ট ও রড সরবরাহ পাচ্ছেন। গত তিনদিন কোন ডিও পাচ্ছিনা। দেশে ব্যান্ডের সিমেন্টসহ বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্ট মিল রয়েছে মাত্র ৫০ টির মত। এর মধ্যে ব্রান্ডের সিমেন্ট কোম্পানি হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি। ব্যান্ডের সিমেন্ট বা রডের ফ্যাক্টরীর মালিকরা এক হলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এদিকে গত বিশদিন থেকে রড ও সিমেন্টের সরবরাহ কমে আকাশ চুম্বি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রড ও সিমেন্টের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে এসব কাজের সাথে জড়িত বিভিন্ন বয়সী রাজ মিস্ত্রী ও হেলপারসহ প্রায় বিশ হাজার পরিবারেও দেখা দিয়েছে মারাত্মক আর্থিক সংকট।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: