ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাসে শেষ বলের ছক্কায় নায়ক যারা...

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২০ মার্চ ২০১৮

ইতিহাসে শেষ বলের ছক্কায় নায়ক যারা...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি২০ ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ বলে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। সৌম্য সরকারকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেটি নিশ্চিত করেন দীনেশ কার্তিক! শেষ বলে চারের ওপরে রান করে জিততে গেলে ছক্কা তো মারতেই হবে। আন্তর্জাতিক, এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসেও এমন ঘটনার উদহারণ খুব বেশি নেই। জাভেদ মিয়াঁদাদ : শেষ বলে ছক্কার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন পাকিস্তানি লিজেন্ড জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১৯৮৬ সালের শারজার সেই বিখ্যাত ম্যাচ। ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে চেতন শর্মার শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। রায়ান হ্যারিস : ১৩ ডিসেম্বর ২০০৬। কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। স্টিভেন্সের বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতান রায়ান হ্যারিস। ড্যারেন ব্রাভো : ২৪ জুলাই ২০১৪। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে জেতার জন্য শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। প্রথম ৫ বলে মাত্র ৩ রান নেয় ত্রিনবাগো। কিন্তু বিটনের শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান ডারেন ব্রাভো। আজহার মেহমুদ : ২০১৫ সালের ১ জুলাই। লন্ডনে ন্যাটওয়েস্ট টি২০ বাস্টের খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল গ্লুস্টারশায়ার ও সারে। গ্লুস্টারশায়ারের ১৫৪ রানের জবাবে ১ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রান করে সারে। ক্রেগ মিলসের শেষ বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতান পাক অলরাউন্ডার আজহার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি : ২০১৬ সালে আইপিএলের রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পুনের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। অক্ষর পটেলের ওভারে শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান ধোনি। লিয়াম প্লাঙ্কেট : ২১ জুন ২০১৬। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের ম্যাচে শেষ বলে জেতার জন্য ৭ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। নুয়ান প্রদীপের শেষ বলে ছয় মারেন প্লাঙ্কেট। ম্যাচ টাই হয়। রবিবার কলম্বোয় নিদাহাস টি২০র ফাইনালে সবশেষ এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। কার্তিকের ওপর যেন অশরীরি কিছু ভর করেছিল। মাত্র ৮ বলে অপরাজিত ২৯ রানের পথে দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। রেকর্ড বইয়ে দীনেশ কার্তিকÑ * যুবরাজকে ছুঁয়েছেন কার্তিক : ২০০৭ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যুবরাজ সিং মাত্র ১৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ওই ম্যাচে যুবির স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৬২.৫০। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে কার্তিক ৮ বলে করেন ২৯ রান। তার স্ট্রাইক রেটও ৩৬২.৫০। ভারতের টি২০ ক্রিকেট ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটসম্যান হয়ে গেছেন কার্তিক। ছুঁলেন যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ড। * বিশ্বে যৌথভাবে দ্বিতীয় : তার এই স্ট্রাইক রেট ভারতের টি২০ ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। সর্বকালের সেরা স্ট্রাইক রেটেও খুব পিছিয়ে নেই। যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে কার্তিকের ৩৬২.৫০ স্ট্রাইক রেট। শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন স্মিথ। তিনি ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে মাত্র ৭ বলে করেছিলেন ২৯ রান। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৪১৪.২৮। যা টি২০ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। * সাতে ভারতের সর্বোচ্চ : ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ বলে ২৯ রান ভারতের টি২০ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রবিাবর রাতে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে অবিশ্বাস্য এই কীর্তি গড়েছেন অভিজ্ঞ ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
×