ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মংলায় নির্মিত হচ্ছে জ্বালানি তেল স্টেশন কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২০ মার্চ ২০১৮

মংলায় নির্মিত হচ্ছে জ্বালানি তেল স্টেশন কেন্দ্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারী প্রকল্পের আওতায় মংলা সমুদ্রবন্দরে নির্মিত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল স্টেশন কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে সকল প্রকার জ্বালানি তেল মজুত ও সংরক্ষণ করা হবে। এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজসহ সকল প্রকার নৌযান এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এখান থেকে জ্বালানি তেলের সুবিধা পাবে। তেল স্টেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জ্বালানি তেলের সঙ্কট নিয়ে চলমান বিড়ম্বনা দূর হবে। মংলা বন্দর সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে জ্বালানি তেল স্টেশনের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুনে এ তেল স্টেশনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। পরবর্তীতে এ জ্বালানি তেল স্টেশন থেকে দেশের সর্বত্র সকল প্রকার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর আগে ২০১৩ সালে এই জ্বালানি তেল স্টেশনের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। তেল স্টেশন সূত্র জানায়, মংলা অয়েল ইনস্টলেশন নামে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি টাকা। বিপিসির তত্ত্বাবধায়নে এ প্রকল্পের অধীনে এক লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ১৪টি ট্যাংক, পাইপ লাইন ও পাম্প হাউস, ফায়ার ফাইটিংস, অটোগেজিং, সাব স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। মংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যিক জাহাজে তেল সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং দীর্ঘদিনের চলমান ভোগান্তি দূর হবে। একই সঙ্গে তেল সরবরাহ নিশ্চিত হলে বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি ও আমদানি রফতানি পণ্যের চাপসহ কাজের গতিও বৃদ্ধি পাবে। তেল স্টেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দেশী-বিদেশী জাহাজসহ নৌযানসমূহে সরাসরি জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ডলফিন ওয়েল জেটি নির্মাণের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ ভাগ কাজ চলতি মাসে শেষ হবে। এখানে কেরোসিন, মবিল, লুবওয়েল, পেট্রোলসহ সকল প্রকার জ্বালানি তেল সংরক্ষণ ও মজুত করা হবে।
×