ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিমেন্টের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২০ মার্চ ২০১৮

সিমেন্টের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নির্মাণ শিল্পের প্রধান উপকরণ সিমেন্টের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে বস্তা প্রতি সিমেন্ট ২০ থেকে ৪০ টাকা করে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্ট ক্লিংকারের দাম বাড়ায় তার প্রভাব বাজারে পড়েছে বলে দাবি সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে সিমেন্টের দাম বাড়ায় আবাসন খাতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে জানান আবাসন ব্যবসায়ীরা। নির্মাণ শিল্পের অবকাঠামো তৈরিতে প্রধান উপাদান সিমেন্ট। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সিমেন্ট। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। কিন্তু হঠাৎ করেই দেশীয় সিমেন্টের বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বস্তা প্রতি সিমেন্টের দাম। গত দুই সপ্তাহ আগে যে সিমেন্ট ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকায়। সিমেন্ট ব্যবসায়ী মুসলে উদ্দীন সেলিম বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ের কাজ, ধর্মীয় কাজ মানে এখন একটা সিজন। এই সিজনের মধ্য উৎপাদন ও ডিমান্ড সাপ্লাইয়ারের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই। সেক্ষেত্রে দাম আরো বেড়ে গেছে।’ নজরুল ট্রেডিং ম্যানেজার শিবু সেন বলেন, ‘সিমেন্ট চাচ্ছি। বলে দশ টাকা বেড়ে গেছে। বলছে আরও বাড়বে। কেন বাড়ছে, কি জন্য বাড়ছে তার কোন কারণ নেই।’ আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্ট তৈরির প্রধান উপাদান ক্লিংকারের দাম বাড়ায় তার প্রভাব দেশীয় সিমেন্টের বাজারে পড়েছে বলে জানান সিমেন্ট উৎপাদনকারীরা। ডায়মন্ড সিমেন্ট ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পারভেজ বলেন, ‘প্রায় ৫ ডলার আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। যে মালটা আমরা ৪৫ বা ৪৬ ডলারে কিনতাম সেটা এখন ৫৩ ডলার। স্বাভাবিক এক বস্তায় প্রায় ৩০-৩৫ টাকা করে বেড়েছে।’ অন্যদিকে, সিমেন্টের দাম এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকলে আবাসন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান আবাসন ব্যবসায়ীরা। রিহ্যাব আঞ্চলিক কমিটি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘সিমেন্টের দাম বাড়লে, রডের দাম বাড়বে। এতে অটোমেটিকেলি ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে। আমরা সকল খরচ একসঙ্গে যুক্ত করে ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে মধ্যম আয়ের লোক ফ্ল্যাট কিনতে বাধাগ্রস্ত হবে।’ বছরে দেশে সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে প্রায় আড়াই কোটি মেট্রিক টন।
×