ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুর স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে পিতা-মাতার করণীয়

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২০ মার্চ ২০১৮

শিশুর স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে পিতা-মাতার করণীয়

বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীর প্রতি একটু খেয়াল ও সতর্ক দৃষ্টি রাখলে সন্তান ভাল ফলাফল করতে পারে। কিছু নিয়ম, কিছু কৌশলী, কিছু ধারণা শিশুকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই জন্য দরকার- ১. সষম খাদ্য ২. পরিমিত ঘুম ৩. আত্মবিশ্বাস ৪. নিয়মিত ব্যায়াম ৫. প্রশংসা (জবধিৎফ) (পজিটিভ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি) ৬. পড়ার কৌশল ছোট শিশুদের জন্য মায়ের দুধ, মায়ের দুধ শিশুর স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য এর বিকল্প আর কিছুই নেই। এটা আল্লাহর নেয়ামক। কিশোর-কিশোরীদের জন্য পুষ্টি ও সুষম খাদ্য শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য একান্ত দরকার। অনেক টিনএজ মেয়েরা ডায়েটিং করে থাকে। এতে স্মরণশক্তি (মেমোরি) বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে। অনেক গবেষক মনে করেন, বাদাম (মৎধহফহঁঃ) দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাওয়ানো যেতে পারে। তাজা/ফ্রেস ফলমূল যেমনÑ আম, পেপে, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়ানো উচিত। শিশুর আয়রন ও জিংক ঘাটতি থাকলে স্মরণশক্তির সমস্যা থাকতে পারে। সেদিকে খেয়াল রেখে জিংক ও আয়রন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খাওয়ানে যেতে পারে। ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড বুদ্ধি ও স্মরণশক্তি সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে বলে বিশ্বাস করা হয় অতএব ওমেগা এগুলো বেশি খাওয়ানো উচিত। ব্রিটেনে একটি গবেষণায় দেখা গেছে কম মনোযোগী বাচ্চাদের (ভরংয ড়রষ) খাওয়ানোর পর তাদের বিহেভিয়ার ও স্কুল চবৎভড়ৎসধহপব-এর উন্নতি হয়েছে। তাই এগুলো পরিমাণে সামান্য কম, ভাত+সবজি+মাছ খাওয়াই ভাল। ঘুম : পরিমিত ঘুম খুবই দরকার। এ জন্য পরীক্ষার আগে সারারাত জেগে পড়ার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হচ্ছে না। রুটিনমাফিক পড়াই উত্তম। পড়ার পর বিশ্রাম স্মরণশক্তি বাড়ায়। অর্থাৎ ঘুম স্মরণশক্তি বাড়ায়। ব্যায়াম : ব্যায়াম স্মরণশক্তি বাড়ায়। বড় বড় করে বাচ্চাকে শ্বাস নিতে বলুন। পেটভরে শ্বাসÑ তাতে ব্রেনের থিটা ওয়েব বেশি ধপঃরাধঃব হবে। ব্রেনে ০২ বেশি সঞ্চালন হবে। স্মরণশক্তি বাড়বে। চুইংগাম : সুগার ছাড়া চুইংগাম চিবাতে পারে এতে কিছুক্ষণের জন্যÑ ব্রেনেঅক্সিজেন সঞ্চালন বেশি হতে পারে। যদি খুব টেনশন লাগে তাহলে নিয়মিত মেডিটেশন করা যেতে পারে। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে হলে প্রয়োজন পড়াশোনা বেশিদিন মনে রাখা এবং বেশি সময় স্মরণ থাকা। প্রত্যেক পিতা-মাতার উচিত কৌশল...। কফি, কেনডি ও ফৎরহশ না খাওয়াই ভাল খেতে দিন পরিমিত পরিমাণে। (ঢ়ঁৎব ফৎরহশরহম ধিঃবৎ ) ছোট ছোট শিশুদের- ঢ়ৎরুব ভড়ৎ ৎবসবসনবৎ-যেমন শিশুকে বলুন এই ছড়াটা মনে রাখতে পারলে এই উপহারটা পাবে। আত্মবিশ্বাস : আমি পারবÑ এই ধারণা শিশুকে আরও সামনে নিয়ে যেতে উৎসাহ যোগাবে। সময় করে দেয়া (ঞরসব ইড়ী) : এতটুকু সময়ে এই পরিমাণ পড়বেÑ এই জন্য টাইমবক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিপিট : মনে মনে ওই পড়াটা আবার স্মরণ করা। শিক্ষণ প্রদ্ধতি : স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির প্রধান শর্ত হলো শিক্ষণ। শিশুকে যতটুকু পড়াবেন তা যেন শিশু বুঝে বুঝে পড়ে এবং পড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকে এমন কিছু মিলিয়ে উদাহরণ দিয়ে কোন ক্ষেত্র তৈরি করে পড়ানো উচিত। ছন্দ ও সুর করে পড়া ভাল। আবৃত্তি করে পড়া : মৃদু জোরে জোরে পড়লে দুটি ইন্দ্রীয় কাজ করে থাকে বিধায় মনোযোগ বেশি থাকেÑ শিশুর জন্য এটি দরকার। রুটিন পদ্ধতি : প্রতিদিন নিযমিত পড়লে খুব অল্পতে পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে অনেক মানসিক চাপ থাকেÑ এই চাপের কারণে পড়া শেষ হয় না, রুটিনমাফিক পড়া উচিত। বিশ্রাম নেয়া : একটানা দীর্ঘ সময় পড়ার পর মাঝখানে একটু বিশ্রাম নেয়া ভাল তাতে আবার পূর্ণ শক্তি পাওয়া যায়। শিশুর স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে : (২য় অংশ) একটি সোজা-সূত্র : ঝছ৩জ ঝÑঝঁৎাবু অর্থ হলো এক নজরে একটা বিষয় সম্পর্কে ধারণা, মনে মনে একটি ম্যাপ তৈরি করা। ছÑ ছঁবংঃরড়হ অর্থ হলো বাচ্চা যতটুকু পড়ল তার মধ্যে নিজে নিজে প্রশ্ন করে উত্তর দেয়া এতে ওই ঃড়ঢ়রপ সমন্ধে বিভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জÑ গবধহরহমভঁষ ৎবধফরহম বুঝে বুঝে পড়া। কোন কিছু না বুঝে পড়লে বেশিক্ষণ মনে থাকে না। জÑ জবপরঃব আবৃত্তিসহ পড়া। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক ফোন- ০১৮১৭০২৮২৭৭
×