ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গর্ভকালীন মায়েদের দাঁতের যত্ন

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২০ মার্চ ২০১৮

গর্ভকালীন মায়েদের দাঁতের যত্ন

গর্ভকালীন নারীদের দাঁতের যতœ বিষয়টি মা ও অনাগত শিশুর সুস্থতার জন্য জরুরী। এই সময়টাতে নারীরা দাঁত ও মাড়ি নিয়ে অনেক ভোগেন। এ নিয়ে আছে অনেক ভুল ধারণাও। গর্ভাবস্থায় দাঁতের যতœ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি নিতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থার দুই মাস পর থেকে মুখ এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু মায়েদের গর্ভকালীন অবস্থায় দাঁতের সচেতনাতার উপর নির্ভর করে মুখগহব্বরে যেমন পরিবর্তন হয় তা সম্পর্কে মায়েদের সচেতন হওয়া আবশ্যক। আজকের আলোচনারবিষয় হলোÑ গর্ভকালীন মায়েদের দাঁতের সমস্যা, প্রতিকার ও চিকিৎসা নিয়ে। গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েদের হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- ১. ‘জিনজিভাইটিস’ (এরহমরারঃরং) গর্ভকালীন এই সমস্যাটি মায়েদের বেশি লক্ষ্য কারা যায়। এই সমস্যাটি হলে সাধারণত মুখের ভেতরের মাড়ি ফুলে যায়। দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্ত ক্ষরণ হয়। তাছাড়া খাবার চাবানোর সময় ব্যথা অনুভব করে ও দাঁত শিরশির করে। ২. ‘পেরিও ডেন্টাল ডিজিস’ (চবৎরড়ফড়হঃরঃরং) যদি পূর্বের সমস্যাটি (জিনজিভাইটিস) নিয়ে সচেতন না হয় তাহলে সেটিপরবর্তীতে দীর্ঘস্থায়ী ধারণ করে। আর তখন এই পেরিওডোন্টাইটিস সমস্যাটি হয়। এই সমস্যাটি তখন একটি রোগে পরিণত হয়। যেটার কারণে মাড়িতে অনেক ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে প্রচণ্ড ভয়াবহরূপ ধারণ করে। প্রচণ্ড রক্ত ক্ষরণ হয়। প্রচ- ব্যথা হয়। দাঁতটিও হারাতে হয়। ৩. ‘ডেন্টাল কেরিজ’ (উবহঃধষ ঈধৎরবং) গর্ভকালীন অবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এসিডিটি বেড়ে যায়। যেটার কারণে দাঁতের এনামেল স্তরটিতে বিশাল একটি প্রলেপ পড়ে। ফলে এনামেল স্তরটি ক্ষয় হয়। যেটাকে ‘ডেন্টাল কেরিজ’ বলে। যেটা থেকে পরবর্তীতে এই ডেন্টাল কেরিজ দেখা দেয়। * হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েদের মুখেরলালার প্রবাহ কমে যায়। ফলে মুখ গহ্বর শুকিয়ে যায়। * রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়ার কারণে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়। যার ফলে মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবং মুখগহ্বর শুকিয়ে যেতে পারে। * এ সময়ে বিপাকীয় প্রক্রিয়ার হার বেড়ে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। শরীরের জলশূন্যতা দেখা দেয়। অতিরিক্ত পানি তৃষ্ণা বোধ হয়। * পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খেলে মায়েদের শরীরে জলবিয়োজন ঘটে। ফলে মুখগহ্বর শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৪. ‘প্রেগনেন্সি টিউমার’ (চৎবমহধহপু ঃঁসড়ঁৎ) এটি একটি ক্ষতিকর টিউমার যেটা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে দেখা দেয়। উপরের সমস্যাগুলো যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হয় তাহলে গর্ভবর্তী মায়েদের এই টিউমার দেখা দেয়। এই ‘পায়োজেনিক প্র্যানুলোমা’ও বলা হয়ে থাকে। পরবর্তী অংশে আমরা জানব এসব রোগের বিস্তারিত চিকিৎসা সম্পর্কে। ? ডাঃ আদেলী এদিব খান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর (উত্তর), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ডাঃ আদেলী এদিব খান
×