ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জেনেসিস থিয়েটারের ‘নয়ন তারা’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ২০ মার্চ ২০১৮

জেনেসিস থিয়েটারের ‘নয়ন তারা’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে জেনেসিস থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা ‘নয়ন তারা’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। সামাজিক মূল্যবোধ ও বাল্যবিবাহের ওপর ভিত্তি করে নাটকটি রচনা করেছেন প্রকাশ সরকার সুমন। নির্দেশনা দিয়েছেন নূর হোসেন রানা। আজ সন্ধ্যায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন, প্রকাশ সরকার মামুন, ইনায়েত হোসেন হিরু, রাজ রিয়াজ, আনসার আলী, চন্দনা সরকার, আফরোজা, কবি, ইকবাল, সমুদ্রসহ অনেকে। নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক নূর হোসেন রানা বলেন, নাটকটির মধ্য দিয়ে সকল স্বপ্নপিপাসু মানুষের কথা বলা হয়েছে। প্রতিফলিত হয়েছে তাদের হাসি-আনন্দ, দুঃখ-কষ্ট, জীবনের আশা-আকাক্সক্ষার কথা। এতে নবীন-প্রবীণদের সমন্বিত অভিনয় রয়েছে। সপরিবারে নাটকটি দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ প্রবহমান নদীর দুই তীরে অসংখ্য সরল-সাধারণ মানুষের বসবাস। নৌকা বেয়ে, মাছ ধরে ও কৃষি কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এসব মানুষ। মূলত এ সকল মানুষের জীবন চিত্রের গল্প নিয়েই ‘নয়ন তারা’ নাটকটি রচনা করা হয়েছে। আর এই নাটকে স্থান পেয়েছে বাল্যবিবাহ, মৎস্য নিধন, শিক্ষা ও প্রেম-ভালোবাসার বিষয়। ‘নয়ন তারা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে নদীর তীরে বসবাসকারী একজন মানুষ নাম তার পরাণ। নৌকা বেয়ে জীবন-জীবিকা তার। সকলে তাকে পরাণ মাঝি বলে চেনে এবং জানে। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। মেয়ে ময়না এবং ছেলে মোহন গ্রামের একটি স্কুলে লেখাপড়া করে। মেয়েটির বয়স ১৩ বছর। দেখতে খুবই সুন্দরী। একসময়ে পাশের গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ হাসেম আলী একমাত্র পুত্র নয়নের সঙ্গে তার বিয়ের প্রস্তাব আসে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভাল এবং নয়ন ছেলে হিসেবে খুবই ভাল। তাই পরাণ মাঝি তার মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করে অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়। এদিকে তার স্ত্রী আমেনা এ বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হলে উভয়ের মধ্যে বাগবিত-া সৃষ্টি হয়। তথাপিও পরাণ তার মেয়েকে বিয়ে দিতে দিন তারিখ ঠিক করে ফেলে। এদিকে গ্রামের স্কুল মাস্টার খবর পেয়ে পরাণের বাড়িতে যায় এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও পরাণ মেয়েকে বিয়ে দিবে মর্মে মাস্টারের সঙ্গে কথা বলেন। স্কুল মাস্টার পরাণকে বোঝাতে ব্যর্থ হলে অবশেষে স্কুল মাস্টার মানবাধিকার কর্মী ও থানার ওসি সাহেবের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ের দিনে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। অতঃপর পরাণ তার ভুল বুঝতে পেরে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে মেয়েকে আবার স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। একই দিনে বিয়ের আসরে নয়নের সঙ্গে করিম বাউলের মেয়ে তারা বানুর বিয়ে হয়।
×