ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুত উৎপাদনে ১০ হাজার মেগাওয়াটের রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ২০ মার্চ ২০১৮

বিদ্যুত উৎপাদনে ১০ হাজার মেগাওয়াটের রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন লক্ষ্য অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুত উৎপাদনের খবর জানানো হয়। দেশের ইতিহাসে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের ঘটনা এই প্রথম। রাতে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এক খুদে বার্তায় জানায়, সোমবার সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হয়েছে। পিডিবির ওয়েব পেজে চলতি বছর ১৫ মার্চ দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের ১৮ নবেম্বর দেশে বিদ্যুত উৎপাদন ওই বছরের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল নয় হাজার ১১ মেগাওয়াট। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ এর ৩০ জুন ৭ হাজার ৪৮৫ মেগাওয়াট সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) সাঈদ আহমেদ রাতে জনকণ্ঠকে বলেন, চাহিদার ওপর নির্ভর করে আমরা উৎপাদন বৃদ্ধি করছি। সোমবার যে পরিমাণ চাহিদা হয়েছে সেই পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া আগামীতে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এপ্রিলে ৮০০ মেগাওয়াটের তেলচালিত বিদ্যুতকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। এছাড়া একই সময়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস -এলএনজি এলে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে করে গ্রীষ্মে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পিডিবি বলছে, তেলচালিত নতুন কেন্দ্র উৎপাদনে আসায় গত কয়েকদিন ধরেই একটু একটু করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়। সরকার গ্রীষ্মের বিদ্যুত সঙ্কট সামাল দিতে স্বল্পমেয়াদী তেলচালিত বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করে। গতবছর শেষ ভাগে এসে নতুন করে তিন হাজার মেগাওয়াট তেলচালিত বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। সকল সরকারী কোম্পানিকে তেলচালিত নতুন কেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারী উদ্যোক্তাদেরও তেলচালিত কেন্দ্র নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। বর্তমানে দেশের স্থাপিত সব বিদ্যুতকেন্দ্রর মোট উৎপাদন সক্ষমতা ১৩ হাজর ১৪৭ মেগাওয়াট। এরমধ্যে বিদ্যুতকেন্দ্র সংস্কারের জন্য ৯৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গ্যাস ঘাটতির কারণে এক হাজার ৫৮৫ মেগাওয়াটের মতো উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এবার গ্যাসচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রর জন্য পিডিবি এর আগেই পেট্রোবাংলার কাছে এক হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা দেয়। কিন্তু পেট্রোবাংলা এখন গড়ে ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। তবে এপ্রিলে এলএনজি আসলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে। সরকার প্রাথমিকভাবে বিদ্যুত উৎপানেই এলএনজি সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ভাসমান টার্মিনালটি প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করতে পারলেও শুরুতে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে আমদানি করা হতে পারে। পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে এলএনজি আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। এখান থেকে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুতকেন্দ্রে সরবরাহ করা হলেও এক হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
×