ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শনা বণিক বাংলা সিনেমা ছেড়ে এখন তেলুগু ছবিতে

প্রকাশিত: ০১:০৬, ২০ মার্চ ২০১৮

দর্শনা বণিক বাংলা সিনেমা ছেড়ে এখন তেলুগু ছবিতে

অনলাইন ডেস্ক ॥ এমনটাই বললেন দর্শনা বণিক। অরিন্দম শীলের ‘ঈগলের চোখ’-এ ছোট চরিত্রেই তিনি সকলের নজড় কেড়েছিলেন। হায়দরাবাদে তেলুগু ছবির শুটে রাত বারোটায় সাক্ষাতকার দিলেন দর্শনা বণিক। • বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে হঠাৎ তেলুগুতে? কাজের সুযোগ পেয়েছি তাই করছি। তবে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার প্রশ্নওই নেই। আমি তো মডেলিং দুনিয়ার লোক। কাজ শুরু করি ২০১৩-য়। আর গত বছরে অভিনয়ে এসেছি। সে ভাবে বলতে গেলে দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সবে কাজ করা শুরু করলাম। অনেক... অনেক পথ চলা বাকি। • কিন্তু আপনি সদ্যই সকলের নজর কেড়েছেন ফেসবুকে সুইম সুট পরে... হঠাৎ এ রকম কেন মনে হল? আমি যখন মডেলিং করেছি, তখন কিন্তু কোনও দিনই এই ধরনের ফোটোশ্যুটের কথা আমার মনে হয়নি। কিন্তু, আস্তে আস্তে আমি নিজের ‘বডি’ নিয়ে সচেতন হই, আত্মবিশ্বাসী হই। ভাবি, আমাকে যদি মানায়, আমি ছবি তুলব না কেন? • এটা তো ফোটোশ্যুট। অজস্র লাইক পেয়েছেন। ছবিতে সুইম স্যুট পরতে পারবেন? প্রথমত সেটা দৃশ্যের গুরুত্ব, চরিত্রের গুরুত্বের উপর নির্ভর করবে। জোর করে কিছু শো করার জন্য নিশ্চয়ই করব না। দেখুন দীপিকা পাড়ুকোন থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া— সকলেই ছবিতে সুইম স্যুট পরেছেন। আমি তাঁদের সম্মান করি। তবে একটা সত্যি কথা বলব? এই মুহূর্তে আমি ছবিতে সুইম স্যুটের দৃশ্য করতে পারব কি না এখুনি বলতে পারছি না। তবে, আমি মনে করি নায়িকাদের শরীর নিয়ে কোনও ছুৎমার্গ থাকা উচিত নয়। • আপনি নাকি শুটে জানতেন না, আপনাকে সুইম স্যুট পরতে হবে? নাহ! আমার স্টাইলিস্ট স্যান্ডি যখন আমাকে পোশাকটা দেয়, আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো, আমি এটা পরব? ও বলে, তুই পরে দেখ, খারাপ লাগলে সোমনাথদা নিশ্চয়ই ছবি তুলবে না। আমি পরার পর ওরা খুবই আপ্রিসিয়েট করে। স্যান্ডি আর সোমনাথদা ক্রেডিট। • অরিন্দম শীলের সঙ্গে আপনাকে খুব দেখা যায়... অরিন্দমদার সঙ্গে শবরে কাজ করেছি। কী ভাল পরিচালক! কাউকে ছোট, বড়— এ ভাবে দেখেন না। অরিন্দমদাই অঞ্জন দত্তর কাছে আমায় নিয়ে যান। ওঁর জন্যই অঞ্জন দত্তর ছবিতে আমার লুক টেস্ট হয়। ‘আমি আসব ফিরে’তে কাজ করি। • সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তো আপনার ভাল যোগাযোগ... সৃজিতদাও আমার কথা অঞ্জনদাকে বলেন। • আপনার কেরিয়ার তো তৈরি। অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত... এ বাবা! এ ভাবে বলবেন না। আমি এ ভাবে দেখি না বিষয়টা। আমি ব্লেসড। ওঁরা ছবিতে আমায় কাজ দিয়েছেন। আর এর মানে এই নয় যে, আমায় আর স্ট্রাগল করতে হচ্ছে না। এই প্রফেশনে রোজ স্ট্রাগল করতে হয়। কাজ পাওয়াও একটা স্ট্রাগল। • কাজ পাওয়ার জন্য প্রযোজকের সঙ্গে ডিনার বা ডেট-এ যেতে পারবেন? একেবারেই না। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন আমি পার্টি করতেও ভালবাসি না, যদি যেতেই হয়, এক ঘণ্টা থেকে চলে আসি। আমি জিম বা এক্সারসাইজ করি না। তাই বাইরের খাবার একদম খাই না। সে ক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার জন্য ডেট বা ডিনারের প্রশ্নই ওঠে না। তবে বন্ধুতা থাকলে বিষয়টা অন্য। কোনও কিছু পাওয়ার জন্য কিছু করায় বিশ্বাসী নই আমি। • পছন্দের অভিনেতা কারা? মেরিল স্ট্রিপ, বিদ্যা বালন, রানি মুখোপাধ্যায়, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্ট। আর শাহরুখের অন্ধ ভক্ত আমি। • আর বাংলায়? জয়া আহসান। ঋত্বিক চক্রবর্তী। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। আমি চাই মুম্বইতেও কাজ করতে। আমি স্বপ্ন দেখি সবাই বলবে, দর্শনা শুধু ভাল দেখতেই নয়, খুব মন দিয়ে অভিনয় করে। ভাল কাজ করে! আমি পারি নিজের স্বপ্নটা এ ভাবে বলে ফেলতে। বলে ফেললেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়। • সবই বললেন কিন্তু প্রেমের কথা আর লুকিয়ে রাখছেন কেন? সত্যি আমার প্রেম নেই। আসলে আমি খুব আনরোম্যান্টিক। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×