ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নানা আয়োজনে পালিত হলো এরশাদের ৮৯ তম জন্মদিন

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ২০ মার্চ ২০১৮

নানা আয়োজনে পালিত হলো এরশাদের ৮৯ তম জন্মদিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা আয়োজনে পালিত হলো সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৮৯তম জন্মদিন। ১৯৩০ সালের এই দিনে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে বারিধারাস্থ এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় কেক কাটেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। এ সময় মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা তাকে অভিনন্দন জানান। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ করেন। দেশ স্বাধীন হলে পাকিস্তান থেকে ফিরে আসেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল নিয়োগ করা হয়। ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট এরশাদ মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে জিয়াউর রহমান তাকে সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮৩ সালে তৎকালীন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে হটিয়ে দেশে সামরিক আইন জারি ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন সাবেক এই সেনাপ্রধান। এরশাদের শাসনকালের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। তিনিই প্রথম দেশে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। এ ছাড়া ছিন্নমূল শিশুদের জন্য পথকলি ট্রাস্ট গঠন এবং যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল থেকে দলের নেতাকর্মীরা ভীড় করেন দলের চেয়ারম্যানে বনানী কার্যালয়ে। মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। ফুল দিয়ে এরশাদকে শুভেচ্ছা জানান সবাই। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
×