নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর বাউফলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ। গত কয়েক দিন ধরে জেলেদের জালে ইলিশ পড়ায় জেলে পরিবারের মুখে হাশি ফুটেছে। এ দিকে ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় ইলিশ প্রেমিরা কমদামে ইলিশ মাছ খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর দিচ্ছে। নদীতে মাছ পড়তে শুরু করায় জেলেরা উদ্যোম উৎসাহ নিয়ে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। মাছ বিক্রির টাকায় সংসারের অভাব-অনটনের বোঝা হালকা হতে শুরু করেছে। স্থানীয় প্রবীন জেলেদের অভিমত এ বছর একুশদিন মা ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের তদারকি ও জেলেদের সচেতনতার কারণে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া নদীর উপকূলবর্তী বাউফল উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে উপজেলা মৎস অফিসে ৬হাজার ৪শ’৮০জন নিবন্ধিত জেলে তালিকা ভূক্ত হলেও মূলত এর সংখ্যা কয়েক গুন। উপজেলার মূল খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় পনের হাজার, যার অধিকাংশ মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন নদীতে মাছ ধরে। নদীতে যখন মাছ থাকে তখন নি¤œ আয়ের এই মানুষ গুলোর আনন্দের সীমা থাকেনা। তখন তাদের পল্লীতে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়।
উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীন জেলে বাদশা মাঝি জানান, চার সপ্তাহ ধরে নদীতে প্রচুর ইলিশ পড়ছে, জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করছে। তরে ইলিশের সাইজ খুব একটা বড় না। ৬শ’ থেকে ৭শ’ গ্রামের ইলিশের সাইজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। বাদশা মাঝির অভিযোগ, কিছু অসাধু জেলেরা নদীতে প্রকাশ্যে বাধা জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, বিন্দি জালসহ নানা প্রকার অবৈধ জাল দিয়ে নদীতে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ শিকার করেন, এ সমস্ত জালে মাছের রেনু পোনা থেকে শুরু করে সকল সাইজের মাছ ধরা পড়ে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি সম্পূর্ন ভাবে অবৈধ জাল নদীতে ফেলা বন্ধ করতে পাড়ে তাহলে এই তেঁতুলিয়া নদী হবে দেশের অন্যতম মৎস ভান্ডার।
উপজেলার বানিজ্যক বন্দও কালাইয়ার ভাই ভাই মৎস আড়তের মালিক অমর দাস বলেন, সম্প্রতী ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম অনেক কম। ৬শ’ থেকে ৭শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজী ৫শ’ থেকে সারে পাচঁশ’ টাকা। তবে বড় সাইজের কোন মাছ পাওয়া যায়না বলে তিনি জানান।
উপজেলার জেষ্ঠ মৎস কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাস বলেন, ওয়ার্ল্ড ফিসের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী ইলিশ পাওয়াযায় বিশ্বের ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই উৎপাদন ক্রমাগত ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন ্জেলে সহায়ক কর্মসূচী মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সঠিক ভাবে বাস্তবায়নে কারণে আজকের এই সাফল্য।