ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় হামলাকারী নিহত

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ২১ মার্চ ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় হামলাকারী নিহত

অনলাইন ডেস্ক ॥যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন হামলাকারী নিজেও। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ম্যারিল্যান্ডের সেইন্ট মেরিস কাউন্টির গ্রেট মাইলস হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থার রয়টার্স জানিয়েছে। স্কুলটি রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে এক শ ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। দেশটির ফ্লোরিডার একটি স্কুলে পাঁচ সপ্তাহ আগে বন্ধুক হামলার ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ওই ঘটনার পর দেশটির বন্দুক আইন সংশোধন নিয়ে রাজধানীতে আন্দোলনের মধ্যে নতুন করে এই হামলার ঘটনা ঘটল। কাউন্টি শেরিফ টিমোথি ক্যামেরুন বলেন, স্কুল শুরুর পর এক শিক্ষার্থী ওপর দুই শিক্ষার্থীকে গুলি করেন। এর পরপরই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দুকধারীর গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে বন্দুকধারী গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে নিহত হন। ক্যামেরুন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। যা অনেক্ষণ ধরে চলতে থাকে। হামলাকারীর গুলিতে ১৬ বছর বয়সী যে ছাত্রী আহত হয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে। ১৪ বছর বয়সী যে ছাত্র আহত হয়েছেন তার অবস্থা ততোটা গুরুতর নয়। তিনি বলেন, হামলাকারীর নাম অস্টিন ওয়াই রলিন্স (১৭) বলে জানতে পেরেছেন তারা। যে ছাত্রীকে গুলি করা হয়েছে, তার সঙ্গে হামলাকারীরর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তবে এবিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। ক্যামেরুন বলেন, যে দুজন আহত হয়েছেন তাদের হাতেও হ্যান্ডগান ছিল। ফলে তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না ওই ছাত্রীকে আসলে কে গুলি করেছিল। এমনকি যে নিহত হয়েছেন সে কার গুলিতে নিহত হয়েছে সে বিষয়েও এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন নিহত হন। ১৭ বছর বয়সী ওই হামলাকারী ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র ছিল। যাকে নিয়মভঙ্গের অভিযোগে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। ওই হমলার পর বন্দুক আইন সংশোধনের দাবিতে রাজধানী ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলন শুরু হয়। তবে কিছুতেই থামছে না দেশটিতে স্কুলে হামলার ঘটনা।
×