ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩১ মার্চ (কেসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২১ মার্চ ২০১৮

৩১ মার্চ (কেসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩১ মার্চ। রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বর্তমান মেয়র বিএনপির। তবে এ দলের পক্ষ থেকেও প্রার্থী সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই বলা হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা। তবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ইসলামী আন্দোলন অনেক আগেই মেয়র প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে এবং প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছে। জাতীয় পার্টি এস এম মুশফিকুর রহমানকে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাওলানা মুজাম্মিল হককে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ২০১৩ সালের ১৫ জুন কেসিসি নির্বাচনে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক ওই নির্বাচনে পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২২ ভোট। তিনি কেসিসির সাবেক মেয়র। সিটি নির্বাচনে হারলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বাগেরহাট-৩ (মংলা-রামপাল) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে ফের কেসিসি মেয়র প্রার্থী হিসেবে দেখার দাবি উঠেছিল তার সমর্থকদের মধ্যে। তবে তিনি সংসদীয় আসনকেই প্রধান্য দিচ্ছেন। নিজের নির্বাচনি এলাকায় সময়ও দিচ্ছেন। তিনি প্রার্থী না হতে চাওয়ায় সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সাইফুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) সভাপতি ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী। আওয়ামী লীগের ব্যানারে নির্বাচন করার জন্য মেয়র প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. আনিসুর রহমান পপলুও। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে নগর জুড়েই আলোচনা চলছে। সাবেক ফুটবলার শিল্পপতি সালাম মুর্শেদীকে নিয়েও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা রয়েছে। গত ৩ মার্চ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানের জনসভায় তার বক্তৃতা প্রদান ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করেই তিনি আলোচনায় এসেছেন। ওই জনসভায় সালাম মুর্শেদী প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র পর বক্তৃতা করেছিলেন, যা খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে সালাম মুর্শেদীকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। এদিকে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার নাম শোনা যাচ্ছে। কেসিসি’র সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি মেয়র প্রার্থী হওয়া সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করেই বলেন, ‘আমি নৌকার পক্ষে কাজ করবো। দলীয় প্রধানই হচ্ছেন এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মালিক। দল যাকে উপযুক্ত মনে করবে তাকেই নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। সবাই দল মনোনীত প্রার্থীও পক্ষেই কাজ করবে।’ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিঃসন্দেহে একটি বড় দল। নির্বাচন করার যোগ্য নেতার সংখ্যাও কম নয়। কেসিসির মেয়র নির্বাচনের জন্য অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশা করতে পারেন। খুলনায় দলের মধ্যে কোনও প্রকার বিভেদ নেই। মেয়র প্রার্থী সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগই জানাবে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে নৌকা প্রতীক যিনি পাবেন সবাই তার পক্ষেই নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে।’ খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে অনির্বাচিত এ সরকার নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার কারসাজি করছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দু’টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপির কোন ধরনের নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সেখানে কে প্রার্থী তা নিয়ে ভাববারও সুযোগ নেই।’
×