ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২১ মার্চ ২০১৮

উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে: অর্থমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি মেলার পর মানসিকতার পরিবর্তনকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বুধবার সচিবালয়ে ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সম্প্রতি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি দেয়। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে পারবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। ওই স্বীকৃতি আসার পর প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “সারা দুনিয়ায় আমাদের বদনাম ছিল, আমরা গরিব। সে অবস্থা আর এখন…. আসমান আর পাতাল।... আমরা সাহায্যের জন্য হাত পাতি- সে কথা আমাদের শুনতে হয়েছে। আজ আমি খুব গৌরব বোধ করছি।” উদ্দীপ্ত, হাসি-খুশী মুহিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতি উদযাপনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ কেবল আবেদন করার যোগ্য হয়েছে, এখনও অনেক পথ বাকি; তারপরও উদযাপনের এত আয়োজন কেন? এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কেন নয়? আমরা অনেক নিচে ছিলাম; আমরা উপরে উঠছি এখন, আরও উপরে যাব। আমরা দেখিয়েছি আমরাও পারি। আমরা উৎসবপ্রিয় জাতি। তাই সবাইকে নিয়ে উদযাপন করব।” সামনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা এলডিসি থাকব। ২০১৮-২০২৪ সাল পর্যন্ত একটা ট্রানজিশনে থাকব। আমাদের মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে। বেশি হারে আন্তর্জাতিক ঋণ নেওয়ার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।” সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সামনের সব সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মানসিকতার পরিবর্তনে ইতোমধ্যে আমরা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। কোন খাতে কত ঋণ নেব, সে বিষয়ে সাবধান হতে হবে।” স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি বাংলাদেশকে জাতিসংঘ জানায় ১৭ মার্চ। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ মিশনকে সেদিন ওই স্বীকৃতিপত্র হস্তান্তর করা হয়। অর্থমন্ত্রী জানান, ওই স্বীকৃতিপত্র মঙ্গলবার দেশে এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তা হস্তান্তর করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই স্বীকৃতির উদযাপন হবে ৭ দিন ধরে। ২০ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ উৎসব চলবে। ২২ মার্চ সকালে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা, বিকালে রাজধানীর নয়টি অঞ্চল থেকে শোভাযাত্রা যাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে; হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই সপ্তাহে সরকারের সব দপ্তর বা বিভাগ একটি সেবা ফ্রি দেবে।
×