ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত শিশু জাইমার পরিবার

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২১ মার্চ ২০১৮

পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত শিশু জাইমার পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন অর রশিদ ও তার লোকজনের জীবন নাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত শিশু জাইমা নেওয়াজ জিসার পরিবার। মামলা তুলে নেয়ার জন্য লঞ্চ মালিক শিশুর বাবা জামাল গাজীকে জীবন নাশ, শিশু অপহরন ও এসিড ছুড়ে স্বপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। স্বপরিবারের জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ এনে শিশু জাইমার মা নাজমুন নাহার বাদী হয়ে সোমবার আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সরোয়ার হোসেনের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরন সূত্রে জানাগেছে, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর ছয় বছরের শিশু কন্যা জাইমা নেওয়াজ জিসা, বাবা জামাল গাজী, মা নাজমুন নাহার ও ছেলে খাঁজা গরীবে নেওয়াজকে নিয়ে ঢাকা থেকে আমতলীতে আসার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে আসেন। এমভি ইয়াদ লঞ্চটি ফতুল্লা ঘাটে এসে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে শিশু জাইমা ছিটকে গিয়ে লঞ্চ ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে ডান পা আটকে যায়। এতে শিশু জাইমার ওই পায়ের পাতার সম্মুখভাগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক শিশু জাইমাকে উদ্ধার করে ঢাকা জেনারেল এন্ড অর্থোপেটিক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালে ২১ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে আসে। এ ঘটনায় শিশু জাইমার বাবা জামাল গাজী বাদী হয়ে এ বছর ১৩ ফেব্রুয়ারী লঞ্চ মালিক মামুন অর রশিদসহ ৬ জনকে আসামী করে দক্ষিণ কোরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়ের পর থেকে শিশুর বাবা জামাল গাজীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য লঞ্চ মালিক ও তার লোকজন জীবন নাশ, শিশু অপহরন ও এসিড ছুড়ে স্বপরিবার মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শিশুর পরিবার। স্বপরিবারের জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ এনে লঞ্চ মালিকসহ ৬ জনের নামে সোমবার আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সরোয়ার হোসেনের আদালতে শিশুর মা নাজমুন নাহার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুর বাবা জামাল গাজী বলেন, লঞ্চ মালিক মামুন অর রশিদ ও তার লোকজন মামলা তুলে নিতে আমাকে জীবন নাশ , শিশু অপহরন ও স্বপরিবারকে এসিড ছুড়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। আসামীদের ভয়ে আমি আমার কর্মস্থল ঢাকায় যেতে পারছি না। আমি দু’শিশুসহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন লঞ্চ মালিকের লোকজন মুঠোফোনে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমভি ইয়াদ লঞ্চের ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, লঞ্চ মালিক ও তার লোকজন শিশুর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে কোন হুমকি দেয়নি। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মামলার তদন্ত চলছে, অল্প দিনের মধ্যে চুড়ান্ত অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শিশুর পরিবার যেইখানে অবস্থান করবে ওই থানায় সাধারণ ডায়েরী করার পরামর্শ দিয়েছি।
×