ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গার্মেন্টস পার্ক প্রতিষ্ঠায় ৫০০ একর জমির বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ২১ মার্চ ২০১৮

গার্মেন্টস পার্ক প্রতিষ্ঠায় ৫০০ একর জমির বরাদ্দ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পোশাকখাতকে আরও এগিয়ে নিতে ‘গার্মেন্টস পার্ক’ প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০০ একর জমির বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আর চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশেষ এই পার্কের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর মধ্যে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে গার্মেন্টস পার্ক প্রতিষ্ঠায় ৫০০ একর জমির লিজ গ্রহণে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের হাতে এই স্মারক তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এ সময় জমির মূল্য হিসেবে বিজিএমই-এর পক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয় বেজাকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মিরসরাইয়ে গার্মেন্টস পার্কের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর ব্যবসায়ীরা যত সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাবেন দেশের অগ্রগতি ততোই দ্রুত হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে।’ সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘পোশাকখাতকে আমরা ইতোমধ্যে ৮০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছি। বিজিএমইএকে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দিতে আজ চুক্তি সাক্ষর হল। এ ছাড়া অনন্ত গ্রুপসহ পোশাক শিল্পের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবং বিজিএমইএ-এর জন্য আরও ৭০০ একর জমি স্টক রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মিরসরাইয়ে এক একর জমি ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে বেজার প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ এর তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম মূল্যে বিজিএমইএ-কে আমরা জমি বরাদ্দ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারো বিনিয়োগ যাতে আটকে না যায় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও তা হবে প্রবৃদ্ধিমুখী।’ বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মিরসরাইয়ে এখন আমাদের ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো দেড় হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। বেজার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশিই বরাদ্দ দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাইব আমার মালিক ভাইয়েরা সেখানে কতদিন পর থেকে গার্মেন্টেসের কাজ শুরু করতে পারবে। গার্মেন্টেসের কাজ শুরু হলে আমরা বলতে পারব গার্মেন্টস পার্ক থেকে আমরা কবে উৎপাদনে যেতে পারব। ভবিষ্যতে দেশের পোশাক খাতে ৫ কোটি লাকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’ এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়া এসডিজি উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে হলে এবং ৫০ বিলিয়ন রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার আমাদের নীতি সহায়তা দিলে আমরা সরকারকে সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে পারব।’ এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব শুভাশিস বসু, বেজার নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. এম এমদাদুল হক, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম মুর্শেদি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×