ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিটিভির প্রথম দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘দ্য জেনারেশন’

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২২ মার্চ ২০১৮

বিটিভির প্রথম দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘দ্য জেনারেশন’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ টেলিভিশনে আজ বৃহস্পতিবার থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে প্রথম দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘দ্য জেনারেশন’। ধারাবাহিকটি সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রচার হবে। ধারাবাহিকটির পরিকল্পনায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, রচনা মাসুম রেজা ও অয়ন চৌধুরী, নির্দেশনা আলভী আহমেদ। প্রযোজনায় নূর আনোয়ার রনজু। ‘দ্য জেনারেশন’ কাহিনীতে দেখা যাবে ঢাকা শহরের কংক্রিটের প্রাচীর ধরে মানসিক সম্পর্কের এক কোলাহলে সময় পার করা প্রায় সমবয়সী ও সমমনা পাঁচ তরুণ-তরুণীর জীবন ও জীবনের আশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নানা ঘটনা দ্য জেনারেশনের মূল বিষয়। এই ৫ জনের নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিকতার অমিল থাকার পরও তারা পরস্পরের ভাল বন্ধু। তাদের ভেতরে যে অল্প কয়েকটা বিষয়ে মিল আছে তা হলো- তাদের প্রত্যেকের ভেতরে মানসিকতা আছে, তারা প্রত্যেকেই স্মার্ট এবং তাদের প্রত্যেকের চিন্তা-চেতনা খুবই পজেটিভ। তারা একটা কফিশপে নিয়মিত আড্ডা দেয়, কফিশপের নাম ‘কফি এ্যান্ড কুইজ’। এই কফিশপের মালিক তৃষা খন্দকার, তিনি খুবই মার্জিত রুচির অধিকারী। এই ৫ জনের একটা ফেসবুক পেজ আছে, পেজের নাম ‘আমরাই বাংলাদেশ’। এই পেজের মাধ্যমে তারা নানা রকমের ভাল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে। যে কোন অসঙ্গতি, অনিয়ম তারা সমাধানের চেষ্টা করে। অসহায়দের সাহয্য করার প্রবণতাও আছে তাদের মধ্যে। যেমন : রেডিও’তে বিভিন্ন আরজের ভাষা বিকৃত করে বাংলা ও ইংরেজীর মিশ্রণে আজগুবিভাবে কথা বলা, দেয়াল লেখা, সবুজায়ন, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি। এই ৫ জন একদিন রেডিও’তে গিয়ে এ রকম একজন আরজের সঙ্গে কথা বলে এবং ফানি কিছু ঘটনার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়- এইসব উদ্ভট ভাষায় কথা বলাটা আধুনিকতা না বরং পুরোটা বাংলায় বা ইংরেজীতে বলতে পারাটা আধুনিকতা। এই ৫ জনের প্রত্যেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তুখোড় রেজাল্ট করা ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও তারা তাদের ক্লাসে প্রথমসারির স্টুডেন্ট। এদের সম্মিলিত একটা ভাবনা আছে। এরা চায় চারপাশের ছোট ছোট অসঙ্গতিগুলোকে মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে তুলে ধরতে। আরও একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পাবে; রাস্তার পাশে যেখানেই দেয়াল সেখানেই দেখা যাবে বিজ্ঞাপন সাঁটানো পড়াইতে চাই। সঙ্গে শিক্ষকের নাম ও মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে। এ ধরনের বিজ্ঞাপনগুলো দেওয়ালটার এবং শহরের সৌন্দর্য সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দেয়। একদিন এই গ্রুপ মোবাইল নম্বরে ফোন করে সেই শিক্ষকের কাছে যাবে এবং এ নিয়ে কথা বলবে। এইভাবে বিজ্ঞাপন সাঁটানোর ভাল দিক মন্দ দিক জানতে চাইবে শিক্ষকের কাছে। বিকল্প কি এবং কিভাবে এই বিজ্ঞাপন করা যেতে পারে যাতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না এবং শিক্ষকেরও মান বৃদ্ধি পাবে ইত্যাদি। এছাড়া আরও একটা উদাহরণ হতে পারে; মানুষকে বাইসাইকেল ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলা। আনন্দ, আড্ডা, ব্যক্তিগত অভিমান, ফান, গান মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে এই ৫ জনের বন্ধুত্বে। নানা প্রতিকূলতা, বাধা আসে তবুও তারা ভেঙ্গে পড়ে না, এগিয়ে যায় স্বপ্নের পথ ধরে। একটা সময় তাদের এই পথ চলায় যোগ দেয় লাখো তরুণ, দেশজুড়ে সবার আইকনে পরিণত হয় এই ৫ জন যারা নিজেরাই একটা বাংলাদেশ। এই ৫ জনের ভাল কাজ ও পজেটিভ চিন্তাধারায় আকৃষ্ট হয়ে এদেশের লাখো তরুণ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তাদের স্বাগত জানায়।
×