ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ওই বিমানবন্দর খুব ঝুঁকিপূর্ণ ॥ শাহজাহান কামাল

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ২২ মার্চ ২০১৮

ওই বিমানবন্দর খুব ঝুঁকিপূর্ণ ॥ শাহজাহান কামাল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আজ বৃহস্পতিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০১৮’-এর উদ্বোধনকালে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় মতো নেপালে বিমান অবতরণ না করতে পারায় তার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর হতাহতদের দেখতে ১৩ মার্চ ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটটি নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা বেশি সময় আকাশে চক্কর দিয়ে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর বিশেষ ফ্লাইটটির বিজনেস ক্লাসে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালসহ সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিমানটিতে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্বজন ও বাংলাদেশি সাংবাদিকসহ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নেপালে বিমান দুর্ঘটনার পর আমি সেখানে গেলে আকাশে আমাদের বিমান এক ঘণ্টা আটকে রাখে। আমি এক ঘণ্টা নামতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘পাইলটদের কাছে যাইয়া জানতে চাইলাম আবার কী হয়! না না আমি যাইনি। আমাদের কর্মকর্তারা গেছে। আমাদের এভিয়েশনের যারা ছিল তাদের বলছি, তারা গিয়ে জানতে চেয়েছে নামতে পারবে কি, পারব না। আসলাম দেখার জন্য, এখন দেখা যায় ......। আমার গলা শুকাই গেছে। কলজেতে পানি ছিল না। আমি বলছি, পাশের দেশে ল্যান্ড করো। তবে তারা বলে কোনো অসুবিধা নাই। আমি বলি, ফুয়েল আছে কি না। যাই হোক, ওই বিমানবন্দর খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় তিনি এয়ারলাইন্স মালিকদের সতর্কতার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বিমানের পাইলট-ক্রুদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। ব্যবসা বড় কথা নয়, ব্যবসার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। সম্পদের চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলো অনেক বেশি কেয়ারফুল (য্ত্নবান)। ভবিষ্যতে যাতে নেপালের মতো দুর্ঘটনা না ঘটে সেটার জন্য সকলে সতর্ক থাকতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে বলেছি, আপনাদের বিমানবন্দর ঠিক করুন। আমি সেখানে গিয়ে পাইলটদের কোনো দোষ দেয়নি। কারণ, আমাদের পাইলটরা খুব এক্সপার্ট। ভ্রমণ বিষয়ক পাক্ষিক বাংলাদেশ মনিটর ১৫তম বারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে। তিন দিনব্যাপী এ মেলার পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ টুরিজ্যম বোর্ড এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আয়োজকরা জানান, মেলায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ও ৬০টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। থাকছে বিশেষ ছাড় ও ভিসা প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়া মেলায় প্রবেশ কুপনের ওপর রয়েছে গ্রান্ড র্যাফেল ড্র।
×