ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এসিআই মোটরস আয়োজন করছে ‘ইয়ামাহা প্রেজেন্টস স্বাধীনতার শপথ’

প্রকাশিত: ০২:০৫, ২২ মার্চ ২০১৮

এসিআই মোটরস আয়োজন করছে ‘ইয়ামাহা প্রেজেন্টস স্বাধীনতার শপথ’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসছে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এসিআই মোটরস আয়োজন করছে ‘ইয়ামাহা প্রেজেন্টস স্বাধীনতার শপথ’। দিবসটিকে সামনে রেখে নিরাপদ পথ চলার অঙ্গীকারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে স্বাধীনতার চেতনায় । একই সঙ্গে ওইদিন গড়তে চাচ্ছে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড। রেকর্ডগুলো হলো- একসাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন স্টার্ট, মোটরসাইকেলের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট নকশা অঙ্কন এবং মোটরসাইকেল দিয়ে তৈরি বৃহত্তম “ইয়াহামা” লোগো। এ বিষয়ে এসিআই মোটরস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুব্রত রঞ্জন দাস জানান, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ইয়ামাহা প্রেজেন্টস স্বাধীনতার শপথ ক্যাম্পেইন - এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন বাংলাদেশ এই ৪৮তম স্বাধীনতা দিবসে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। সুব্রত রঞ্জন দাস আরও জানান, ২০১৭ সালে ‘ইয়ামাহা ঢাকা বাইক কার্নিভাল’বাংলাদেশের বাইকারেদর জন্য একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম ছিলএবং ঢাকা বাইক কার্নিভালের প্রতি বাংলাদেশের বাইকারেদেরআশাতীত সাড়া বিশ্বব্যাপী একটি আলোড়িত ইভেন্ট আয়োজনের প্রেরণা জুগিয়েছে। এর আগে গত বছর ইয়ামাহা ঢাকা বাইক ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে। এবার সেদিকে খুব বেশি মনোযোগ না দিয়ে এই দেশ এবং তার মানুষকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাটাই ইয়ামাহার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। বাইকের প্রতি বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণের ভালোবাসাই ইয়ামাহাকে এমন উদ্যোগে ইতিবাচক সাড়া দিতে জুগিয়েছে অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের বাইকারদের নিয়ে আমাদের ধারণা সবসময় ইতিবাচক থাকে না। বাইকারদের কারণে রাস্তাঘাটে সাধারন মানুষ, প্রাইভেটকার গাড়িচালক, বাস, সিএনজি ইত্যাদি অন্যান্য যানবাহনের নানামুখী ঝামেলায় পড়তে দেখা যায় বলেই সাধারণ ধারণা। বাইকারদের বেপরোয়া চালনাকেই তারা এজন্যে দায়ী করেন। সুব্রত রঞ্জন দাস এর সাথে আলাপনের মাধ্যমে যানা যায়, এটা খুবই সত্য যে, আমরা বাইক বলতে মাঝে মাঝে দূর্ঘটনার কথাই বেশি বিবেচনা করি কিন্তু এই ধারণা বদলাতে ইয়াহামা নিয়ে আসছে ২৬শে মার্চে বাইকারদের নিয়ে স্বাধীনতার শপথ “নিরাপদ পথ চলার অঙ্গীকার”। অর্থনৈতিক ভাবেও বাইক বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর অনেক দেশই এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে।প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশগুলোতেও স্থাপিত হয়েছে বাইকের আধিপত্য। বাইক সময় বাঁচায় এবং আধুনিকতার সাথে চালকদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে ওঠাতে বাড়ছে এর ব্যবহার। স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলার জন্য নিরাপদ থাকা অনেক জরুরী। পুরোপুরি নিরাপত্তার সাথে বাইক চালনা সচেতন নাগরিকের পরিচয় । দেশকে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিতে তাই এই “নিরাপদ পথ চলার অঙ্গীকার”, নিশ্চিত করেন সুব্রত রঞ্জন দাস।
×