স্টাফ রিপোর্টার ॥ মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির বেরিয়ে আসার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, রাজনৈতিক কৌশল কিন্তু সবই মনে রাখতে হবে। ইচ্ছে করলেও সব করা যায় না।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ২৪ মার্চ দলের মহাসমাবেশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আছে কি-না- জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, ‘এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে এই বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন আছে। কোনটা করলে দলের জন্য ভাল হবে, দেশের জন্য ভাল হবে, সবকিছু বিবেচনা করে পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। অপেক্ষা করেন।
এরশাদের মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বলেছেন, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। মামলায় আমরাও জর্জরিত। আজও আমারসহ দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
হাওলাদার বলেন, আমরা তিন শ’ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছি। তবে আগামীদিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর তৃণমূল নেতাদের সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, এরশাদকে বিনাদোষে ছয় বছর কারাগারে রাখা হয়েছিল। তখন তাকে সকালের খাবার বিকেলে দেয়া হয়েছে। ইফতার দেয়া হয়েছে রাত ১০টায়। কারাগারে কি অমানুষিক যন্ত্রণা দেয়া হয়েছে। তখন আমাদের বেদনায় কেউ ব্যথিত হয়নি। কিন্তু আমরা মানুষের দুরবস্থা দেখলে ব্যথিত হই।
জাপা মহাসচিব সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা দুই মাস আগেই সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু বইমেলার কারণে ফেব্রুয়ারিতে সমাবেশ করতে পারিনি। এ সময় বিএনপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, একটি দল অন্ধকার ঘরে বসে সংবাদ সম্মেলন করে দল পরিচালনা করছেন। এভাবে কোন দল চলতে পারে না।
মহাসমাবেশ সম্পর্কে হাওলাদার বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদের ২৪ মার্চ স্মরণকালের বৃহৎ জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এরশাদ সেদিন জাতীয় পার্টির শাসনামলের উন্নয়নের ইতিহাস এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মহাসমাবেশকে সফল করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন রুহুল আমিন হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতি, ইসলামী মহাজোটের মহাসচিব এমএ মতিন, জাপা দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।