ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জালাল উদ্দিন হত্যা

পলাতক হাসান মাসুদের স্ত্রীর জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৩ মার্চ ২০১৮

পলাতক হাসান মাসুদের স্ত্রীর জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জালাল উদ্দিন হত্যায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে পলাতক হাসান মাসুদের স্ত্রী তানিয়া বেগম জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দী মোতাবেক অভিযানকালে উপর থেকে গুলি চালানো হয়। তার জবানবন্দী আদালত রেকর্ড করেছে। আদালত তাকে নিজ জিম্মায় পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পলাতক হাসান গ্রেফতার হয়নি। গত ১৯ মার্চ সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে ডিবির পশ্চিম বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে দুই সার্জেন্টের অস্ত্র চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগের আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছেই ১০৫/এ/১ নম্বর আড়াইতলা বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবির একটি দল। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডিবির পরিদর্শক জালালের মৃত্যু হয়। পরে সেখান থেকে পলাতক হাসানের স্ত্রীসহ মোট সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার পলাতক হাসান মাসুদের স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৫) ঢাকার সিএমএম আদালতে জবানবন্দী দেয়। ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে তানিয়ার জবানবন্দী রেকর্ড হয়। আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আবু ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার রাতে বাসার ছাদের ওপর থেকে গুলি করে। বিচারক তানিয়া বেগমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ শেষে সাক্ষীকে নিজ জিম্মায় যেতে দেন। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু মোঃ ফজলুল করিম সাক্ষীকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর আবেদনসহ আদালতে হাজির করেন। এর আগে বুধবার রাতে ডিবির এসআই শামীম আহমেদ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ডিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের দুই সার্জেন্ট মামুনুর রশীদ ও সোহেল মিরপুর মডেল থানায় দুইটি মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, তারা রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ঝিলপাড়ের একটি বহুতল বাড়িতে বসবাস করেন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তারা তাদের অস্ত্র বাসায় রেখে বাইরে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় অস্ত্রের সন্ধান করলে দেখেন অস্ত্র নেই। বাসার জানালার গ্রিল কেটে অন্য মালামালের সঙ্গে অস্ত্র দুটি চুরি হয়ে গেছে। মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবির পশ্চিম বিভাগ। সেই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডিবির পরিদর্শক জালাল উদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। জালাল উদ্দিনের মাথায় দুটি বুলেট বিদ্ধ হয়ে ব্রেইন ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
×