ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাহা ইসলাম

ফ্যাশনে ট্রেন্ড টপস-পালাজ্জো

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৩ মার্চ ২০১৮

ফ্যাশনে ট্রেন্ড টপস-পালাজ্জো

আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্তি করে বাজারে নতুন এসেছে বিভিন্ন কাটের টপস। এসব টপসে দেশীয় নকশার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। ছিমছাম আরামদায়ক বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্ক্রিন প্রিন্ট, ভেজিটেবল ডাই ব্লক, উল-সুতা, মিরর কাট নকশা থাকছে ডিজাইনে। টাইডাই, সুতার কাজ, সব ধরনের স্ক্রিন পেইন্ট, এ্যাসুস, মখমল ইত্যাদির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। কাটছাঁট ফ্রক কাটের টপসগুলো দৈর্ঘ্যে সাধারণত সেমি লং ও শর্ট। ফিউশন কাট আর প্যাটার্নের বৈচিত্র্য আছে। কোমরে কুচি বা ইলাস্টিক, নিচের দিকে ঘের দেয়া, কোমর থেকে আলাদা রঙের কাপড়, বুকের সামনে নকশা ইত্যাদি একেবারে ভিন্নতা এনে দিয়েছে এসব টপসে। ঘের ছাড়া টপস বা কাফতান কাটের টপসও মিলবে। শুধু কাটিং নয়, নজর দেয়া হয়েছে লো হাইট কাট, লং প্যাটার্ন আনারকলি কাট ও টিউনিক প্যাটার্ন। ছিমছাম নকশায় টিউনিক প্যাটার্ন কাটেও স্মার্ট লুক খুঁজে পাওয়া যায়। প্যাটার্ন, কাটছাঁটে বেশ পরিবর্তন দেখা গেলেও থেমে নেই রঙের ব্যবহার। ব্যবহার হয়েছে গাঢ় ও হালকা শেডের রং। ভেজিটেবল ডাই ও জ্যামিতিক নকশার দেখা মিলবে কোন কোন ফ্রক টপসে। আবহাওয়া আর পরিবেশ বুঝে হাতার কাটিংয়েও এসেছে বৈচিত্র্য। ছোট হাতা, বড় হাতা, সেমি লং ও সিøভলেস সবই রয়েছে। ডিজাইনারের বয়ানে নকশা ফ্রক টপস পরতে পারেন চুড়িদার, জিন্স, সালোয়ার বা পালাজ্জোর সঙ্গে। টিন বা তরুণদের সঙ্গে সাধারণত অন্যদের পছন্দের কিছুটা পার্থক্য থাকে। সব বয়সীদের কথা মাথায় রেখেই শর্ট আর লং ফ্রক টপসের অপশন রয়েছে। হালকা আর গাঢ় দুই ধরনের রংই থাকছে। কারণ টিন ও তরুণীরা হালকা ও গাঢ় দুই ধরনের পোশাকই খোঁজে। হাওয়া বদল ভ্যাপসা গরমে সুতিই সবচেয়ে আরামের। তবে ফ্যাশন হাউস ঘুরে সুতির পাশাপাশি লিলেন বা জর্জেট কালেকশনের পোশাকও উল্লেখ করার মতো। এ ধরনের কাপড় ভিজলে যেমন তাড়াতাড়ি শুকায়, তেমনি ব্যবহারে সহজ। ইস্ত্রি না করেও পরা যায়। সিঙ্গেল টপসে জনপ্রিয় আড়ংয়ের তাগা ঘরানার ফ্রক টপস। সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও ডিজাইন-বৈচিত্র্য থাকায় ফেবারিট। শুধু আড়ং না, দেশীয় ও পশ্চিমা ধাঁচের প্রায় সব ফ্যাশন হাউসেই পাবেন বাহারি কাটের ফ্রক কাটের টপস। ফ্যাশনে কয়েক বছর ধরেই পালাজ্জো চলছে। তবে কয়েক দফায় কাটছাঁট, রঙ নকশায় পরিবর্তন হয়ে পালাজ্জো ফ্যাশনে এখনও জনপ্রিয় হয়ে আছে। দুই-তিন ধরনের কাট অনুসরণ করে পালাজ্জো বানানো হয়। একটিতে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সমানভাবে ঢোলা কাটে বানানো হয়। অন্যটিতে ওপরের দিক থেকে নিচের দিকটায় বেশি প্রশস্ত থাকে। বেলবটম কাট এবং লেয়ারিং পালাজ্জোই এখন ট্রেন্ডি। গত বছর প্রিন্টের পালাজ্জোর কদর থাকলেও এখন একরঙা পালাজ্জোই সবাই পছন্দ করছেন। সুতি, সিল্ক, লিলেন, নিট কটন আর কটনের কাপড় দিয়ে পালাজ্জো বানালে কাটটা খুব ভাল হয়। অঞ্জনসের স্বত্বাধিকার ও ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন আহম্মেদ বলেন, ‘যাদের স্বাস্থ্য ভাল, তাদের পালাজ্জোর সঙ্গে একটু ঢিলেঢালা টপস পরলে মানাবে। একটু শুকনা আর লম্বা গড়নের যারা তাদের ওপরে চাপা হয়ে নিচের দিকে ঢোলা পালাজ্জো ভাললাগবে। একটু খাটো যারা তারা চাপা কাটিংয়ের পালাজ্জো পরতে পারেন। চুড়িদার চুড়িদার ফ্যাশনে বেশ পুরোনোই। তবে নতুন করে এতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আর তাতেই ফ্যাশনে এখন চুড়িদার জনপ্রিয় হয়েছে উঠেছে। কটন আর সেমি সিনথেটিক কাপড়ে চুড়িদারই বেশি দেখা যাচ্ছে এখন। নিয়ন আর শকিং কালার যেমন গাড় নীল, লাল, ম্যাজেন্টা, পার্পল, কমলার মতো উজ্জ্বল রঙে এসেছে নতুন চুড়িদারে। লং প্যাটানের কামিজের সঙ্গেই বেশি জুতসই হবে এই সালোয়ার। রং মিলিয়ে পায়ে দিতে পারেন চটি স্যান্ডেল। গড়ন বুঝে সালোয়ার দেহের সঙ্গে সালোয়ারটি মানানসই কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি লম্বা ও মোটা গড়নের অধিকারী হন তবে চাপা, পাকিস্তানী রাউন্ড শেপ সালোয়ার, চুড়িদার ভাল মানাবে। আর যদি শুকনা গড়নের আর উচ্চতা মিডিয়াম হয় তবে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন পাটিয়া, ডিভাইডার ধরনের সালোয়ারগুলো। কেমন ফেব্রিক চলছে সালোয়ারের ফেব্রিকের ক্ষেত্রে সুতি, খাদি, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, লিলেন বেশি ব্যবহার হচ্ছে। আর রঙের ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে উজ্জ্বল রং। কেমন দাম বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে ব্র্যান্ডের পালাজ্জো পাওয়া যাবে ৩০০-১২০০ টাকায়, ডিভাইডার ২০০-৪০০, প্যান্ট কাট সালোয়ার ৪০০-২০০০, ট্রাউজার সালোয়ার ৪০০-১৮০০ টাকা। নন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের সালোয়ার পাওয়া যাবে ২০০-৮০০ টাকায়। কোথায় পাবেন রং বাংলাদেশ, কে ক্রাফট, বিবিয়ানা, আড়ংসহ বিভিন্ন দেশীয় ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকম সালোয়ার। নন ব্র্যান্ডের সালোয়ার কিনতে যেতে পারেন ধানম-ি- হকার্স, নিউমার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, গাউসিয়া, মৌচাক মার্কেট, ফরচুন মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে। ছবি : রঙ বাংলাদেশ
×