ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২৩ মার্চ ২০১৮

কলাপাড়ায় ৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ বাবলাতলা বাজার থেকে ইংরেজি অক্ষর ইউ এর মতো দুই দিকে প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়েছে প্রায় দশ বছর আগে। একবার মেরামত করা হয়েছে। ফের খানা-খন্দে একাকার হয়ে গেছে। দুই পাশের স্লোপের মাটি নেই। ভেঙ্গে সড়ক বিলীন হচ্ছে। এলজিইডি ডিপার্টমেন্ট এই সড়কটির নির্মাণ কাজ করেছে। একইদশা ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষ্মীর বাজারের উল্টোদিকের সড়কটির। প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের এখন চরম বেহালদশা। কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কের আলীপুর মৎস্যবন্দর থেকে চাপলী বাজার পর্যন্ত সড়কটির। আবার চাপলী থেকে আশাখালী সংযোগসড়ক পর্যন্ত একই দশা। চাপলী বাজার থেকে গঙ্গামতি সৈকতে যাওয়ার সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সড়কটির এখন সিলকোট উঠে গেছে। মিঠাগঞ্জের তেগাছিয়া-আজিমদ্দিন এক কিমি সংযোগ সড়কের সিলকোট ভেঙ্গে গেছে। ধানখালীর লোন্দা থেকে নমরহাট নয় কিলোমিটার, নমরহাট থেকে সোমবাড়িয়ার বাজার হয়ে ফের লোন্দা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক এখন আর ব্যবহার উপযোগিতা নেই। ছোটবালিয়াতলী থেকে বানাতিবাজার পর্যন্ত সড়কটিও ভেঙ্গে শত শত গর্ত হয়ে গেছে। চিঙ্গরিয়া থেকে লোন্দা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। এসব সড়ক এখন যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল আকন জানান, আলীপুর মৎস্যবন্দর থেকে কাউয়ারচর যেতে ১৪ কিলোমিটার সড়কের চরম বেহালদশা। এছাড়া চাপলী বাজার থেকে গঙ্গামতি সৈকতে যাওয়ার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কও জরুরি ভিত্তিতে মেরামত দরকার। বালিয়াতলীর চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির জানান, তার ইউনিয়নের চৌরাস্তা থেকে মুক্তিযোদ্ধা বাজারের উল্টোদিক পর্যন্ত এক কিমি, তুলাতলী থেকে পক্ষিয়াপাড়া পর্যন্ত তিন কিমি, ছোটবালিয়াতলী থেকে বানাতি দেড় কিমি সড়কের অবস্থা বেহাল। টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু জানান, তার ইউনিয়নের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ সড়ক চিঙ্গরিয়া থেকে লোন্দা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ছয় কিমি সড়কটি ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। এই চেয়ারম্যানের অভিযোগ ছয় চাকার ট্রলি চলাচল করায় সড়কগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ধানখালীর চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ গাজী জানান, তার ইউনিয়নে অন্তত ২০-২২ কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। এভাবে লালুয়ার প্রায় ছয় কিলোমিটার হেরিংবন্ড সড়ক ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে বলে চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা জানালেন। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হীরন জানান, তার ইউনিয়নে দুই কিলোমিটার সিলকোট এবং অন্তত পাঁচ কিমি ইটের সড়ক মেরামত করা প্রয়োজন। লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, তার ইউনিয়নের অভ্যন্তরীন কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। তিনি জানান, কুয়াকাটা থেকে মিশ্রিপাড়া পর্যন্ত সড়কটি এখনই মেরামত করা প্রয়োজন। কারণ এই সড়কটি পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কলাপাড়াস্থ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, অতিসম্প্রতি দুই কিমি সড়ক মেরামত করা হয়েছে। চলমান রয়েছে আরও চারটি গ্রুপে ১৭ কিলোমিটার সড়কের মেরামত কাজ। যা এই বর্ষা মৌসুমের আগেই মেরামত করা হবে। এছাড়া আরও ১৩ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি এও জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে অন্তত ৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীন সড়ক মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে।
×