ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টপির মৃত্যুর সংবাদ সাড়ে ১০টায় জানানো হয় ছেলে মাহিকে

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২৩ মার্চ ২০১৮

টপির মৃত্যুর সংবাদ সাড়ে ১০টায় জানানো হয় ছেলে মাহিকে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ গত রবিবার থেকে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম টপি। যেদিন রাতে মা আফসানা খানম টপি স্ট্রোক করেন সে সময় মায়ের পাশেই ঘুমিয়েছিল ছেলে তানজিব বিন সুলতান মাহি। অনেকক্ষণ মায়ের কোনো সাড়া না পেয়ে চিৎকার করেন মাহি। এরপর উত্তরাস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয় টপিকে। সেখান থেকে নেয়া হয় শেরে বাংলানগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে। প্রথমে বাবা আবিদ সুলতানের মৃত্যুর খবরে দিশেহারা মাহিকে নিয়েই ছিল আত্মীয়-স্বজনদের দুশ্চিন্তা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে স্বামীর কাছে চলে গেলেন টপি। তার মৃত্যুতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে স্বজনদের। তবে মায়ের মৃত্যুর খবর জানানোর পর কাছে নেয়া হয়নি মাহিকে। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আইসিইউ বিভাগের নিচে ডাক্তার চেম্বারে রাখা হয়েছে তাকে। জানা গেছে গত রাতেও হাসপাতালে ছিলো মাহি। মায়ের খোঁজ খবর রেখেছে। ভোরে বাসায় চলে যায়। কিন্তু সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যু হয় মা টপির। সাড়ে ১০টায় দুঃসংবাদটি জানানো হয় মাহিকে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মাহি। কোনোভাবে বোঝানো যাচ্ছে না। বারবার মায়ের কাছে যেতে চাইছে। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, ডাক্তার কাজী ইকরাম হোসেন বলেন, হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন টপি। তার চিকিৎসা ও সুস্থতার জন্য হাসপাতাল থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আবিদ সুলতানের ভাই ও টপির বাবার উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এদিকে আফসানা খানম টপির মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভিড় করছেন তার আত্মীয়-স্বজনরা। সেখানে তার ছেলে, বাবা ও দেবরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আছেন। টপির মরদেহ এখনও হাসপাতালেই আছে। উল্লেখ্য, নেপালের ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার ফ্লাইটের ৫০ যাত্রী ও ক্রুর সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানও। ওই দুর্ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে স্ট্রোক করেন টপি। এরপর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে।
×