ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৌশলী লুৎফর রহমান এর পিএইচডি ডিগ্রী লাভ

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২৩ মার্চ ২০১৮

প্রকৌশলী লুৎফর রহমান এর পিএইচডি ডিগ্রী লাভ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক প্রকৌশলী ড. মোঃ লুৎফর রহমান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। গত ২০ মার্চ গাজীপুরস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ২য় সমার্বতনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এর কাছ থেকে এ ডিগ্রী গ্রহণ করেন। ড. রহমানের থিসিস শিরোনাম ছিল “River Bank Erosion Protection Using Bamboo Bandalling Structure”. তার গবেষণা লব্ধ বিষয়ে অল্প ব্যয়ের বাঁশের ব্যান্ডেলিং পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের নদী মাতৃক এ দেশের নদী তীর ভাঙ্গন রোধ, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি এবং ভূমি পুনঃরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী। প্রফেসর ড. মোঃ শওকত ওসমান তার থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন। এছাড়াও তার এক্সটারনাল পরীক্ষক ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় অবস্থিত বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মানস মোহন অধীকারী এবং ষ্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বি.সি. বসাক। দেশীয় সম্পদ বাঁশ ও গরীব জনশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার গবেষণা লব্ধ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ইতোমধ্যে জামালপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদ, দশানী নদী এবং জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙ্গঁন রোধে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। নদী ভাঁঙ্গন এলাকার জনগণ সুফল পাচ্ছে, শত শত একর ভুমি পুনঃরুদ্ধার হয়ে নদী তীর ভাঁঙ্গন রোধ হয়েছে এবং নদীর নাব্যতাও বৃদ্ধি পেয়ে এর গতিপথ অপরিবর্তনীয় (Stabilize) হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তার পিএইচডি ডিগ্রীর প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের ৫টি বিভাগের ১৫ টি প্রতিনিধিত্ব নদী (জোয়ার ভাটার নদী, জোয়ারভাটা বিহীন নদী এবং পাহারিয়া নদী) নিয়ে প্রায় ১০০ (একশত) কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, যার উপর ভিত্তি করে নদীসমূহ ভাঙ্গন রোধের উপর ডিজাইন ম্যানুয়েল তৈরী করা হবে। প্রকৌশলী ড. মোঃ লুৎফর রহমান ১৯৮০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাশ করার পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হতে ১৯৮৬ সালে বি.এস.সি ইঞ্জি.(সিভিল), ১৯৮৯ সালে পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগ থেকে মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৯৯২ সালে ইংল্যান্ডের লাব্রা ইউনিভার্সিটি থেকে ওয়াটার-এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পোষ্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচী উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রকৌশলী ড. মোঃ লুৎফর রহমান বর্তমানে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি প্রকৌশল সমাজের স্বেচ্ছাসেবী পেশাজিবী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আজীবন সদস্য (এফ#৪২২০) এবং বর্তমান ২০১৮-২০০০ মেয়াদে আইবি ফরিদপুর কেন্দ্রের অবৈতনিক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
×