ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলঙ্কিত দিনে গণতন্ত্র রক্ষার মহা-সমাবেশ এরশাদের

প্রকাশিত: ০৩:০০, ২৩ মার্চ ২০১৮

কলঙ্কিত দিনে গণতন্ত্র রক্ষার মহা-সমাবেশ এরশাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন বর্তমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক শাসন জারি করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। প্রায় ৩৫ বছর পর কলঙ্কিত এই দিনেই গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মহা-সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আগমীকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে মহা-সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন জাপা চেয়াম্যান এরশাদ সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতিমধ্যে সমাবেশের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে দলটি। সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে একমাস আগে থেকে মাঠে নেমেছে দলের শীর্ষনেতারা। মহাসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি ও মঞ্চ পরিদর্শন করতে শুক্রবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এদিকে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ে করা হয়েছে আলোকসজ্জ। প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে মৎসভবন, শাহবাগ পর্যন্ত বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর প্রায় সব ফ্লাইওভারে এরশাদের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে শুক্রবার বিকালে জাপা কাকরাইল কার্যালয়ে সর্বশেষ প্রস্ততি সভা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টি। এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এছাড়া সমাবেশ সফল করতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি বিকালে কাকরাইল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফী আহমেদ বলেন, আগামীকাল ২৪ শে মার্চ। ১৯৮২ সালে ২৪ শে মার্চ অবৈধভাবে বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দীর্ঘ ৯ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে তীব্র গন-আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন এই স্বৈরাশাসক। অথচ কলঙ্কিত এই দিনেই তিনি গণতন্ত্র রক্ষা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মহা-সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু দেশের মানুষ তার অতীত ভুলে যায়নি। স্বজনহারা মানুষগুলো এখন কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে রেখেছেন। যদিও এরশাদ বরাবরই বলে আসছেন তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করতে চাননি। তাকে ক্ষমতা গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছিল। নিজের হাতে রক্তের কোন দাগ নেই বলেও উল্লেখ করেন এরশাদ।
×