ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে শেষ হলো লালন স্মরণোৎসব

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৪ মার্চ ২০১৮

মেহেরপুরে শেষ হলো লালন স্মরণোৎসব

সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ২৩ মার্চ ॥ লালনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আধ্যাত্মিকতা ও তার গানের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকতে চান লালন সাধকেরা। এরই ধারাবাহিকতায় সাধুর চরণ ধুলি নেয়ার জন্য সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে বাউল সম্রাট লালন শাহ্ স্মরণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় দু’দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। বিভিন্ন জেলা থেকে লালন অনুসারী ভক্তরা ছুটে আসে এ স্মরণোৎসবে। লালনের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে মায়ের দান শান্তি আশ্রমে প্রতি বছরই আয়োজন করা হয় লালন স্মরণোৎসব। ৩৩ বছর ধরে হয়ে আসা বাউল সম্রাট লালন শাহ্’র তিরোধান দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে শুক্রবার রাতে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী লালন উৎসব। মানব ধর্মের সেবা এবং লালনের রেখে যওয়া আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে লালন ভক্ত, বাউল গবেষক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যোগ দেয় উৎসবে। লালন একজন আধ্যাত্মিক সাধকই নন তিনি একাধারে লালন সাঁই, বাউল সম্রাট, বাউল ফকির, সুরকার, গীতিকার ও সমাজ সংস্কারক। লালন সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসিন ও খুরশেদ আলম জানান, লালনের জ্ঞান ত্বত্ত, ভাব ত্বত্ত, দেহ ত্বত্ত বিষয়ে আরও বেশি জ্ঞানলাভ এবং লালনের জীবনাদর্শ ধরে রাখার জ্যন্য ভক্তরা ছুটে আসেন লালন স্মরণোৎসবে। লালনের গান নিয়ে এখন দেশেই নয় বরং সারা বিশ্বে গবেষণা হচ্ছে এবং আরও বেশি উন্নত হচ্ছে। লালন অনুসারী ফয়েজ উদ্দিন, আবুল হোসেনের মতো বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লালন অনুসারীরা জানান, অনেকেই লালনকে অনুসরণ করে বৃদ্ধ হয়ে গেছে, তারপর এখনও লালনের বাণী সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি মানুষের মাঝে নিজস্ব যে শক্তি রয়েছে তারা সেই শক্তিকে জাগ্রত করার জন্য লালনের আধ্যাত্মিকতা বিভিন্ন গানের মধ্যে উঠে এসেছে বলেও জানান ।
×