ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বোল্ট এ বার মন দিয়েছেন ফুটবলে

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ২৪ মার্চ ২০১৮

বোল্ট এ বার মন দিয়েছেন ফুটবলে

অনলাইন ডেস্ক ॥ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড-এর সমর্থক তিনি। ভক্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। তাঁর ফুটবল প্রতিভা নাকি লিওনেল মেসির মতো। নিজের সম্পর্কে এ কথাই বলেন তিনি। যদিও তিনি ফুটবলের নন, গতির রাজা। বিশ্বের দ্রুততম মানব। তাঁর দখলে রয়েছে অলিম্পিক্সের আটটি সোনার পদক। সেই ইউসেইন বোল্ট অবসর নেওয়ার পরে এ বার মন দিয়েছেন ফুটবলে। জুন মাসেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হতে চলেছে এক প্রদর্শনী ম্যাচ। ‘সকার এইড ফর ইউনিসেফ’ আয়োজিত সেই ম্যাচে বিশ্ব একাদশের নেতৃত্ব দেবেন বোল্ট। প্রতিপক্ষ পপস্টার রবি উইলিয়ামস এবং তাঁর ইংল্যান্ড দল। সেই ম্যাচের তিন মাস আগেই শুক্রবার অনুশীলনে নেমে পড়লেন কিংবদন্তি বোল্ট। স্প্রিন্টে বিশ্বজয়ী অনুশীলন করলেন বিশ্বজয়ী জার্মানদের মাঠে। জার্মানির সেরা ফুটবল লিগ বুন্দেশলিগার অন্যতম সেরা দল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে। মারিও গোৎজে, মার্কো রয়েস-দের সঙ্গে অনুশীলন করলেন তাঁদের ক্লাবের হলুদ-কালো জার্সি গায়ে চাপিয়ে। বোল্টের এই অভিনব ফুটবল অনুশীলন দেখতে শুক্রবার উপচে পড়েছিল ভিড়। ভক্তদের নিরাশ করেননি ১০০ মিটার দৌড়ের বিশ্বরেকর্ডধারী। গোৎজে-র ভাসানো ক্রসে মার্কারকে টপকে গিয়েই দুরন্ত হেডে গোল করে ভক্তদের আনন্দ দিলেন তিনি। কখনও বা লিও মেসির মতোই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক দোমিনিক রেইমান-এর দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে বল নিয়ে গিয়ে হাসতে শুরু করে দিলেন। অনুশীলন শেষে অটোগ্রাফ, সেলফি-র আবদার মিটিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। সাত সকালে মাঠে ঢুকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-এর জার্সি পেয়েই খুশিতে ভেসে গিয়েছিলেন জামাইকার কিংবদন্তি অ্যাথলিট। বলেন, ‘বিনা খরচায় ফুটবল সরঞ্জাম পেয়ে গেলাম। তা-ও আবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের! দারুণ ব্যাপার।’’ ড্রেসিংরুমে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান ফুটবলার মারিও গোৎজে-র সঙ্গে ‘মিটিং বোর্ড’-এর সামনে দাঁড়িয়ে রণনীতি নিয়েও আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে বোল্ট-কে। নয়া সতীর্থদের সঙ্গে ভাব জমাতে দেরি হয়নি বন্ধুপ্রিয় বোল্টের। গা গরম করার সময় থেকেই দেখা যায় সকলের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা চলছে তাঁর। পরে সতীর্থদের সঙ্গে হাত লাগিয়ে গোলপোস্ট সরাতেও দেখা যায় তাঁকে। অনুশীলনে বোল্ট বল পায়ে বরুসিয়া-র ফুটবলার ও সমর্থকদের চমকে দিয়েছেন নিজের স্কিল দেখিয়ে। দু’দলে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলার সময় সেন্টার ফরওয়ার্ড হিসেবে খেলেন বোল্ট। খেলার মাঝে কখনও বল ধরলেন, কখনও বা বিপক্ষ ফুটবলারকে কাটিয়ে বাড়ালেন নিখুঁত পাস। দ্রুত পৌঁছে গেলেন প্রতিপক্ষ দলের পেনাল্টি বক্সের সামনে। সব মিলিয়ে তাঁকে দেখে কখনওই মনে হয়নি যে, একেবারে আনকোরা কেউ ফুটবল মাঠে নেমে পড়েছেন। ক্রিকেট প্রাক্তন বিশ্বসেরা এবং প্রচুর কিংবদন্তি উপহার দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলেছেন বোল্ট। এ বার দেখিয়ে দিচ্ছেন, ফুটবলেও তিনি ঝড় তুলতে পারেন। মাঠ ছাড়ার আগে বোল্ট হাসতে হাসতে সংবাদমাধ্যমকে বলে যান, ‘‘জোসে মোরিনহোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, যদি আমি সিরিয়াস হই, তা হলে আমার ম্যান ইউ-তে খেলার ব্যাপারটা ও বিবেচনা করবে।’’ তার পরেই তাঁর অসাধারণ উক্তি— ‘‘গতিটা আমার রয়েছে। কাজেই সেটা জোসে মোরিনহো ব্যবহার করতেই পারেন।’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×