অনলাইন ডেস্ক ॥ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদকে শনিবার ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিল রাঁচীর বিশেষ সিবিআই আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, এ দিন বিচারক শিবপাল সিংহ দুমকা ট্রেজারি মামলায় ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় সাত বছর এবং দুর্নীতি দমন আইনে আলাদা ভাবে সাত বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন লালুপ্রসাদকে। সেই সঙ্গে এই দু’টি ধারায় ৩০ লাখ করে মোট ৬০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে জেল হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারক।
দু’দিন আগেই অসুস্থ হয়ে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এ ভর্তি হয়েছিলেন লালু। তাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দিন এই মামলার শুনানি হয়। লালু আদালতে উপস্থিত না থাকলেও বাকি ১৮ জন অভিযুক্ত হাজির ছিলেন সেখানে।
দুমকা ট্রেজারি মামলায় গত ১৯ মার্চ লালুপ্রসাদ-সহ ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তবে এই মামলায় অভিযুক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র-সহ ১২ জনকে বেকসুর খালাস করে দেন বিচারক শিবপাল সিংহ।
লালুপ্রসাদ যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। এ দিন যে মামলায় তাঁর কারাদণ্ড হল সেটি ১৯৯৫-৯৬ সালের। দুমকা ট্রেজারি থেকে ওই সময়ের মধ্যে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল তিন কোটিরও বেশি টাকা।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলাতে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালু। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তিনি বীরসা মুণ্ডা জেলে রয়েছেন।
২০১৩-য় চাঁইবাসা ট্রেজারি মামলায় অভিযুক্ত হন লালু। এই মামলায় পাঁচ বছরের জেল হয় তাঁর। দেওঘর ট্রেজারি মামলায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা