ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের কোন নজির নেই : সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৪০, ২৪ মার্চ ২০১৮

গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের কোন নজির নেই  : সেতুমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সেটা বিএনপি’র সিদ্ধান্তের ব্যাপার। বিএনপি নির্বাচনে এলে স্বাগত, না এলে তাতেও আমাদের কিছু করার নেই। নির্বাচন নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবে। নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষো করবে না। আর নির্বাচনকালীন সরকার পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। প্রতিবেশি ভারতসহ কোন গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্বাচন দেন সেই দৃষ্টান্ত দেশবাসীর কাছে তারা (বিএনপি) নিয়ে আসুক। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে ইনকামভেসী থাকে ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশে থাকবে, রুটিন ওয়ার্ক করবে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নয়াপুর এলাকায় ঢাকা বাইপাস সড়কের সংস্কার কাজের উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সময় সরকার মেজর কোন পলিসি ডিসিশন নেয়ার কোন সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা সরকার এখানে নির্বাচন কমিশনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সহযোগিতা করবে। যে সব মন্ত্রণালয় ইলেকশনের সাথে সম্পৃক্তি সেগুলো ইলেকশন কমিশনের নিয়ন্ত্রনে চলে যাবে। এখানে সরকারের কোন দায়-দায়িত্ব নেই। সরকার ইচ্ছে করলেও হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দারকার তা করবে। নির্বাচন কমিশন যে ধরণের সহায়তা চাইবে শেখ হাসিনার সরকার তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অভিযোগের জন্য অভিযোগ করছে, নালিশের জন্য নালিশ করছে। তারা আন্দোলন করতে গিয়ে জনগণের সাড়া না পেয়ে এখন নালিশ ছাড়া তাদের কোন ক্যাপিটেল নেই। তাদের এখন একটি কাজ নালিশ করা। দেশের মানুষের কাছে তারা নালিশ করে না। নালিশ করে বিদেশীদের কাছে। তিনি বিএনপিকে জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিদেশীদের কাছে নালিশ না করে জনগণের কাছে নালিশ করুন। জনগণ যদি নির্বাচনে আমাদের না চায় আমরা তো জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবো না। জনগণের রায় নিন। জনগণের কাছে যান। বিদেশীদের কাছে নালিশ করে দেশেকে ছোট করবেন না। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ভাগ্য আমাদের ঠিক করতে হবে। জনগণ আমাদের দেশের গণতন্ত্রের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যদি উচ্চ আদালত সাজা মৌকুফ করেন তবে আমাদের কিছু করার নেই। বেগম জিয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। এই মামলা গুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের, আওয়ামীলীগ সরকারের নয়। এই মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নিয়ে অহেতুক মন্তব্য করতে চাইনা। বিএনপি যে শর্ত দিয়েছে এটা কার উপর দিচ্ছে। নির্বাচনকি আদালত পরিচালনা করবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ও এটা সরকার কি আদালতকে বলতে পারে? তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার দাবি কেন বিএনপি বারবার করছে? তিনি আরো বলেন, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে? বিএনপির অতীত রেকর্ড খারাপ। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন মাগুরার মতো, ঢাকা-১০ আসনের মতো নির্বাচনের ঘটনা ঘটে। এটি তাদের বেড রেকর্ড। নির্বাচনে কারচুপি করা, জালিয়াতি করা , জনগণের দেয়া রায় বানচাল করার রেকর্ড আওয়ামীলীগের নেই। নির্বাচনের আগেও করেনি, পরেও করেনি। মন্ত্রী আরো বলেন, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বাইপাস সড়কসহ চারটি সড়ক সংস্কার করা হবে। এছাড়া দেশের সব সড়ক মহাসড়ক আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা হবে। এ সময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন- সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিভাগের অতিরিক্তি প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, মন্ত্রীর গণসংযোগ কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা।
×