ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দিরা গান্ধীর অনন্য ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠেছিল ॥ ড. গওহর রিজভী

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২৫ মার্চ ২০১৮

ইন্দিরা গান্ধীর অনন্য ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠেছিল ॥ ড. গওহর রিজভী

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনন্য ভূমিকার কারণেই বিশ্ববাসী গণহত্যার কথা জানতে পারে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা : মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান’- শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. গরহর রিজভী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপচার্য ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল, মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী। ড. গওহর রিজভী বলেন, একাত্তরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা দিয়েছেন। একটি কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সেই সময়ে যে গণহত্যা চলছিল, সেটা পশ্চিমা গোষ্ঠী বুঝতে চাইছিল না। বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে, একই সঙ্গে এখানে স্বাধীনতার জন্য লড়াই চলছে এটা তিনি পশ্চিমা গোষ্ঠীকে বোঝাতে সক্ষম হন। তারই অনন্য ভূমিকার কারণে বিশ্ববাসী গণহত্যার কথা জানতে পারে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে সক্ষম হন। ড. গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বন্ধন ও বন্ধুত্ব রয়েছে, এর কোন সীমানা নেই। এই বন্ধুত্ব কখনও শেষ হওয়ার নয়। দুই দেশ আগামী দিনে একযোগে এগিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠানে শ্রিংলা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে বলেছেন, সাথ সাথ পাছ পাছ হ্যায়। দুই দেশ সুখে দুঃখে সব সময় পাশে পাশে থাকবে।
×