ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাদিক ইসলাম

প্রকৃতি নিবিষ্ট ওয়ার্ডসওয়ার্থ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ৬ এপ্রিল ২০১৮

প্রকৃতি নিবিষ্ট ওয়ার্ডসওয়ার্থ

ওয়ার্ডসওয়ার্থ (১৭৭০-১৮৫০) এবং স্যামুয়েল টেলর কলরিজ ছিলেন ইংরেজী রোমান্টিক ধারার দুই অগ্রদূত যাদের সঙ্গে কিটস, শেলি ও বায়রনের নামও চলে আসে প্রকৃতির কবি হিসেবে ও ভাববাদী দার্শনিক হিসেবে। নিসর্গ বিমুগ্ধ কবি এবং রোমান্টিক কাব্যের যুগস্রষ্টা কবি বলা হয় ওয়ার্ডসওয়ার্থকে। প্রকৃতি এবং জীবন, দুয়ের মিশেলে ভিন্নতর এক আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনি। শেলি ওয়ার্ডসওয়ার্থকে বলেছিলেন, প্রকৃতির কবি আবার উইলিয়াম হ্যাজলিট কবিকে পাহাড়ের কবি আখ্যা দিয়েছিলেন। ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্য দুজনের উপমাই সত্য। ১৭৯৮ সালে কোলরিজের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকাশিত ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘লিরিক্যাল ব্যালাড্স’ পুরাতন শুষ্ক, প্রাণহীন কাব্য চর্চা থেকে নতুন একযুগের দ্বার উন্মোচন করে। শুরু হয় রোমান্টিক যুগের। যেখানে জীবনকে সাবলীল, সহজ, সরল ও আড়ম্বরহীনভাবে প্রকাশ করা হয় জীবনকে প্রকৃতি আশ্রয়ে অলঙ্কার সর্বস্ব এলিজাবেথান, অগাস্টান যুগ থেকে মুক্ত করে ইংরেজী সাহিত্য নিরাভরণকে গ্রহণ করতে শিখে। ওয়ার্ডসওয়ার্থ তার কবিতায় কাব্যলঙ্কার, বাহুল্য আর অভিজাত চরিত্র, কৃত্রিমতা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ (Noble savage), রাখাল বালক, গ্রাম্য বালিকা, প্রকৃতি নদী, জলাশয়, বৃক্ষরাজি, নিকুঞ্জ ইত্যাদিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিয়ে এসে সাহিত্যেকে করেন প্রাঞ্জল, জীবনঘেষা। কৃত্রিম সাহিত্য ছেড়ে সহজ, সরল কাব্য ধারা বিশ্ব সাহিত্যে নতুন এক শিল্প চেতনা নিয়ে আসে। ওয়ার্ডসওয়ার্থের বেশি সংখ্যক কবিতার মধ্যে পাওয়া যায় সুক্ষ্ম জীবনবোধ, মানবতার জয়গান, ও রহস্যময় নিসর্গের নিগূঢ়তা। তার সর্বেশ্বরবাদ আর সব রোমান্টিক কবিদের থেকে তার প্রকৃতি প্রেমকে করেছে আলাদা। ওয়ার্ডসওয়ার্থ Solitary Reaper (নিসঙ্গ শস্য কর্তনকারিণী) কবিতায় পাহাড়-অরণ্য ঘেরা একটি ফসলি মাঠে, প্রকৃতির অকৃত্রিম সৌন্দর্য; নির্জন নিরালায় পাহাড়ী তরুণীর ফসল কাটা আর মধুর সুরে গান ও ড্যাফোডিল (ও wondered as a lonely cloud) কবিতার ফুল সঞ্চারিত কল্পনা থেকে ভাবনার নবতর ব্যবঞ্জনায় উড়ে যান বহির প্রকৃতি থেকে প্রকৃতির একদম অন্তর অবগাহনে। ধীরেধীরে প্রিলুদ, টিনটার্ন এবে, ইমরটালিটি ওড ইত্যাদি বিখ্যাত কবিতায় প্রকৃতি বিমোহিত কবি অসীমতার উপস্থিতি দেখেন অতুলনীয় নিসর্গে অনির্বচনীয় সৌন্দর্যে। প্রকৃতি তার হৃদয়কে শুধু এর বিভিন্ন উপাদান নদী, পাহাড়, মাঠ, নিকুঞ্জ, পাখি, মেঘ, জলের সৌন্দর্য দিয়ে প্রশমিত করে না তিনি বিছিন্ন প্রকৃতির মাঝে ঐক্যের এক মহাবাণী শুনতে পারেন; সমগ্র ব্রহ্মান্ডের আর সৃষ্টি রহস্যের আভাসের ছোঁয়া দেখতে পারেন রহস্যঘেরা প্রকৃতির অস্ফুট কথামালায়। বিখ্যাত ‘টিনটার্ন এবে’ (Tintern অননবু) কবিতায় প্রকৃতি আসক্ত ওয়ার্ডসওয়ার্থ শহরের কোলাহল থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে আসেন ওয়ে নদীর তীরের ঘন বনানীতে; এর রূপের বিভায় মুগ্ধ বিস্ময়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। ওয়ে নদী এর তীরের ঘন নিকুঞ্জ, নদীর প্রবাহ,স্নিগ্ধ নির্জনতা কবির মনে শুধু প্রকৃতি বিমুগ্ধতা নয় অন্য কিছুর ইঙ্গিত দেয়। কবি অতি-ব্যক্তিক চেতনার মিশেলে নিজের সমস্ত অনুভূতি দিয়ে প্রকৃতির এক গহীন জীবন্ত সত্তার মাঝে বিলীন হয়ে যান। রহস্যময় প্রকৃতিকে কবি নিশ্চল, অজড় বস্তু হিসেবে নয় স্রষ্টার প্রকাশরূপে জীবন্ত সত্তা হিসাবে অবলোকন করেন। বিস্ময়কর প্রকৃতিতে কবি মহাকালের চিহ্ন রেখা দেখেন। এ কবির নিজস্ব তৈরি মরমীবাদ। এক অতিন্দ্রীয় সত্তা কবি মনকে সম্মোহিত করে। সুদূরের জাগরণ তিনি প্রকৃতির এমনকি ক্ষুদ্রতম সৃষ্টিতেও দেখতে পারেন দিব্য নয়নে। মহত্তম চিন্তার (elevated thought) স্ফুরণ ঘটায় নির্জন বনানী ; প্রকৃতির নানা উপাদানের মাঝে কবি একক সত্তার উপস্থিতি অনুভব করেন। এ শুধু বহির প্রকৃতি দেখা নয় জ্ঞাত প্রকৃতির ভেতর অজ্ঞাত রূপের অনুভব মিলে কবির ব্যক্তিক দর্শন ও চেতনায়। সীমার মাঝে অসীমের, দেখার মাঝে অদৃশ্যের, ধরার মাঝে অধরার ইঙ্গিত কবিতাটির মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠে। কবি প্রকৃতিতে এক মোহনী রূপের (beauteous forms) সন্ধান পান। কবিতাটিতে শুধু অনুভূতি নয় তার হৃদয় আর রক্তে মিশে যায় নিসর্গের মায়া; তাই শহুরে কোলাহল থেকে গভীর নির্জনতার টানে ফিরে আসেন এবে কূলে। তিনি প্রকৃতির মাঝে হরিণ হয়ে ছুটে বেড়িয়ে এর বাহ্যিক রূপে মনের অপরিশুদ্ধ তৃপ্তি মেটান কিন্তু ধীরে ধীরে অপার্থিব এক মোহ তাকে নিসর্গকে আরও গভীর আরও মহৎ হিসেবে দেখতে শেখায়। ওয়ে নদী এর নির্জন তীর জাগতিক কোলাহলের মাঝে কবিকে শান্ত রাখে না শুধু ভালবসতে শিখায় ও মমতাপূর্ণ করে তার মন। কবি কী গভীর আবেগে আপ্লুত হয়ে স্বীকার করেন; ‘হে গ্রাম্য ওয়ে কতবার আমার অন্তরাত্মা ঘুরে বেড়িয়েছে তোমার তীরে।’ অপার্থিব আর পরাবাস্তব প্রাপ্তির স্বাক্ষর মেলে কবি যখন প্রকৃতির বাহিরের রূপ অতিক্রম করে কোন দূর লোকের ছায়া দেখেন বিশুদ্ধ, কুমারী প্রকৃতির অচেনা রূপে বিচলিত চিত্তে; সাগরের জলে, অস্তমান সূর্যে, জীবন্ত বাতাসে। কবি প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুতে এক জ্যোতির বয়ে চলা দেখেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে। তাই মাঠে, জঙ্গলে, পাহাড়ে কবি উপলব্ধি করেন অধরা বা অর্ধ সৃষ্টি (half created) সেই মোহকে। তিনি অকপটে প্রকৃতিকে তার বিশুদ্ধতম কল্পনা, মন আর আত্মার বিশুদ্ধ বন্ধু আর অভিভাবক (the nurse/the guide) করে নেন। ইমরটালিটি (Intimation of Immortality) বিশ্ব সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য গীতি কবিতা; এর ছন্দময়তায় ও গভীর চেতনা পরিস্ফুটনে। প্রকৃতি যে স্বর্গীয় বিভার পোশাকে আচ্ছাদিত কবি তা ম্লান হতে দেখে প্রথমে বিষন্ন। মে মাসের অনন্যসাধারণ রূপসী একটা দিনে কবির তৃষিত মন স্রষ্টার অমলিন মহিমাকে ক্ষুদ্রাকারে এই ধরণিতে বয়ে যেতে দেখেন। তাই কবি রাখাল বালককে গান ধরতে বলেন; নিসর্গের প্রাণিকুলের আনন্দে আবিষ্ট হয়ে যান। বিস্ময়করভাবে কবি মন ফেলে আসা সেই স্বর্গীয় অনুভূতি আবার তার হৃদয়ে জাগরিত হতে দেখেন। রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেন ‘তুই ফেলে এসেছিস কারে, মন, মন রে আমার/যে পথ ধরে চলে এলি সে পথ এখন ভুলে গেলি’। ওয়ার্ডসওয়ার্থ যেই স্বর্গ থেকে আমাদের এই মর্তে আগমন তার অদ্ভুত চিহ্নরেখার অভিজ্ঞান লাভ করেন প্রকৃতির গুপ্ত সৌন্দর্যে। প্লেটোর মতো সসীমের মাঝে তিনি অসীম মায়ার চিহ্ন খুঁজে পান। তার পরিবর্ধিত উপলব্ধি ‘এ জন্ম এ তো শুধু এক দিনের ঘুম ভুলে থাকার: আমাদের জীবনের সঙ্গে আমাদের আত্মার উন্মেষ। এই জীবন্ত আত্মার মূল অন্য কোনখানে; বহুদূর থেকে এসেছি এখানে।’ কিন্তু আমরা বেড়ে উঠি আর জগতের নিয়ম, আকর্ষণ আমাদের সেই শুদ্ধ চেতনা থেকে দূরে ঢেলে দেয়; শিশুকালের বিশুদ্ধতা বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর কদর্যতায় ম্লান হয়ে যায়। পৃথিবীর রুক্ষ আনন্দ আমাদের হৃদয় গভীরের অতিত মহিমাকে বিলীন করে দেয়। হতাশ কবি জীবনের পূর্ব অস্তিত্বের ছায়া খুঁজে পান পাখিদের গানে নিজেকে সমর্পিত করে মুগ্ধ প্রকৃতিতে সব নিরাশা ঝেড়ে ফেলেন। বলাকা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ যেমন ধাবমান পাখির ডানায় অতীন্দ্রিয় জগতের সঙ্গে চলমান জগতের যোগসূত্র দেখেন ওয়ার্ডসওয়ার্থও তেমনি অতিন্দ্রীয় এক অনুভবে পুলকিত হন; সামান্যের মাঝে পান অসামান্যকে। একটি শিশুকে তার বাবা মাকে অনুকরণ করা দেখে কবি ভাবনার অতলে দেখেন এই শিশু মন এখনও শুধু দেহ দিয়ে নয় তার হৃদয় দিয়ে, আত্মা দিয়ে তার ফেলে আসা স্বর্গীয় আভা অনুভব করে কিন্তু ধীরে ধীরে পৃথিবীর কর্মকান্ড আমাদের এই জগত আর সেই জগতের মাঝে আবরণ হয়ে দাঁড়ায়। কবি মন শিশুর শৈশবের মহিমাময় স্মৃতিস্মরণ করে এই কদর্য জগতেই মহিমাপূর্ণ ফেলে আসা তার জন্মপূর্ব স্মৃতি মনে জাগরিত হতে দেখেন। কবি দারুণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন ‘আমি দেখি সেই অমর জগত/ভেসে ওঠে সে জগত হৃদয়ে যে আমাদের এপারে এনেছে’। কবি প্রকৃতির উপমাতেই তার এই বিখ্যাত কবিতাটি শেষ করেন -কবির অভিমত নিকৃষ্ট একটা ফুলও গভীরতর চিন্তা ধারণ করে মানব কান্নার জলের চেয়েও যা উৎকৃষ্ট। ওয়ার্ডসওয়ার্থের অন্যতম সৃষ্টি কর্ম হলো হলো দ্য প্রিলিউড (The Prelude)। এটি মূলত একটি অর্ধ-জীবনীমূলক গ্রন্থ বিশেষ করে কবিতা যা প্রকৃতি, সমাজ ও মানব জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে লেখা। অসমাপ্ত প্রিলিউড জীবনের জন্য গভীর দর্শন ধারণ করে। প্রিলিউডের লেখা গুলিতে মানুষ, প্রকৃতি ও সৃষ্টির মাঝে যে আধ্যাত্মিকতা আছে তা কবির সর্বেশ্বরবাদ (Pantheism) চিন্তার প্রতিফলনের মাধ্যমে প্রতীয়মান। কবি প্রকৃতির ক্ষুদ্রতমকেও উপেক্ষা করেননি ওয়াল্ট হুইটম্যানের কাছে যেমন একখ- ঘাস বিধাতার সুগন্ধি রুমাল প্রিলুদে তেমনি কবির কাছে প্রকৃতির প্রতিটি কণা, সুন্দর, মহৎ, উৎকৃষ্ট, নিচু, বিস্ময় জাগানিয়া সব কিছুই মহাজাগতিক সত্তার নীরব, মহৎ প্রকাশ। কবির কল্পনায় এই জগত, এর মানুষ অসীম জগতের এক ক্ষুদ্র ছায়াময় প্রকাশ আর প্রকৃতি এই মর্ত জগত ও অমর জগতের মাঝে এক অস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে অব্যক্তভাবে সেই চিরকালের জগতের চিহ্ন ধারণ করে আছে। প্রিলিউডে কবি তাই বলেন- ‘পানির এই চক্রপাক গতি, স্বর্গীয় আকাশে অবমুক্ত মেঘরাশি, এই ঝঞ্ঝা, এই নিবিড়তা, এই আলো এই আঁধার; শুধু একজনের অসীম খেলা/সেই এক রূপ ভিন্ন ভিন্ন পত্রগুচ্ছে তার আবাস/সেই শেষ দিনের আভাস, সেই চিরকালের যাত্রার লক্ষণ, সেই প্রথম, সেই মধ্যবর্তী, সেই সব শেষের চিহ্ন’। এভাবে অসাধারণ কাব্যিক বিশ্বাসে কবি প্রকৃতির সরল, স্নিগ্ধ মায়ায় সীমাহীন, অনন্তকালের আভাস দেখেন। বিশ্ব বিধাতার প্রকাশ সৎ, বিশুদ্ধ, নীরব নিসর্গে অপূর্ব দর্শন আলোকে প্রত্যক্ষ করেন গভীর জীবন ভাবনায়। বস্তুতে কবি প্রাণের সঞ্চার দেখেন; মুক বস্তুও কবির কাছে অতলান্ত বিভা নিয়ে মহিমান্বিত। কবির আরেক বিশেষ উপলদ্ধি বস্তুও অনুভব করে, জড়ও অনুভূতিপ্রবণ- ‘প্রকৃতির সব স্থানে, পাথর, ফল বা ফুল/এমনকি স্থূল পাথার খন্ড যা ঢেকে রাখে উঁচু পথ সব এক মহিমায় উদ্ভাসিত: তারা অনুভব করে বা কোন অনুভবের সঙ্গে যুক্ত, এ বিশাল ভূমন্ডল এক চলমান মহাত্মার সঙ্গে গ্রথিত; যা দেখি সব নিশ্বাস ফেলে এক অন্তর্গত তাৎপর্যে’। নিস্তদ্ধ, একাকী নিসর্গ ওয়ার্ডসওয়ার্থের কাছে শান্তিমগ্ন ধ্যান (“wise passiveness and meditative peace”) ওয়ার্ডসওয়ার্থ তাৎপর্যপূর্ণ মনন হচ্ছে তিনি মূল্যহীন প্রকৃতি ও জীবনকে মূল্য দান করেন। ‘টিনটার্ন এবে’ কবিতায় তিনি মানুষকে প্রকৃতিমুখী হতে বলেন কারণ ‘প্রকৃতি সে হৃদয়কে কখনো পরিত্যাগ করে না যে তাকে ভালবাসে’ আবার ‘দ্য টেবলস টার্ন’ কবিতায় তিনি বই ফেলে প্রকৃতি থেকে জ্ঞান লাভ করতে বলেন। পাখি হবে যাজক, প্রকৃতি হবে শিক্ষক- ভালমন্দের, শুভ আর আনন্দের যেখানে আমাদের দ্বিধাবিভক্ত চিন্তা আড়ষ্ট নয়। কবি সুগভীর অনুরাগ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে প্রকৃতিকে ভালবাসেন। জ্যোর্তিময় মহাবিশ্ব তার সমস্ত মহিমা নিয়ে এই প্রকৃতিকে পূণ্যময় করে তুলেছে আর জীবনের গভীরতর অর্থ বিদ্যমান প্রকৃতিতে যা বর্তমান আধুনিক মনন দেখতে ব্যর্থ।
×