ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বৈশাখী উৎসবে বৃষ্টির হানা

প্রকাশিত: ০২:২২, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

বৈশাখী উৎসবে বৃষ্টির হানা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলার সংস্কৃতির সবচে বড় মাইলফলক পহেলা বৈশাখ নগরবাসীকে প্রাণে প্রাণ মেলাবার সুযোগ করে দেয়। আর সেই সুযোগে শনিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান এবং মানিক মিয়া এভিনিউ ছিল উৎসবমুখর। তবে বিকেলে বৈশাখের প্রথম বেরসিক বৃষ্টিতে সেই উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে। এক কথায় যাকে বলে 'হরিষে বিষাদ'। উৎসবমুখর মুখগুলো মুহূর্তে গোমড়া হয়ে যায়। অনেকে ছোটোছুটি করে গাছের নিচ কেউবা দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠছে। বৈশাখের বিকেলে প্রিয়জনকে নিয়ে সবেমাত্র মধুর আলাপনে সময় কাটাতে শুরু করেছে এমন সময় বেরসিক বৃষ্টির হানা। বলা যায় বড়ই আনরোমান্টিক বৃষ্টি! পহেলা বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টিও যেন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ, সেটার জানান দেয় বিকেলের বৃষ্টি। মানিক মিয়া এভিনিউতে এমনিতেই ছুটির দিনে মানুষের ভিড় জমে ওঠে। তার উপর যদি বৈশাখের মতো বাঙালি উৎসবের দিন হয় তাহলে তো কথাই নেই। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে পুরো এলাকা যেন রঙিন হয়ে উঠেছিল। নারীর পরণে বাহারি বৈশাখী শাড়ি আর মাথায় ফুলসাজ, পুরুষদেরও বৈশাখী সাজের কমতি নেই। নানা রঙের পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পাজামা এবং স্লিপার। হঠাৎ বৃষ্টিতে উৎসবের সব আনন্দ নিমেষে বিষাদে পরিণত হয়। তারপরেও অপেক্ষায় যদি বৃষ্টি সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়, তাহলে আবারও সেই উৎসব চলবে। আর এই উৎসব শেষ হবে রাত অবধি। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ থাকলেও দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। এতে অনেককে ভিজে জবুথবু হয়ে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে। রাজধানীর ফার্মগেট, পশ্চিম রাজা বাজার এলাকায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হয় ফোটা ফোটা বৃষ্টি। পরে তার গতি বাড়তে থাকে। মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন ও ঝড়ো হাওয়ায় বৃষ্টিতে ছন্দপতন ঘটতে দেখা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামে। এসময় অনেকে রাস্তা থেকে দৌড়ে বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেয়। আবার অনেকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়।
×