ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফারমার্স ব্যাংক জালিয়াতি ॥ চিশতীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১৫ এপ্রিল ২০১৮

ফারমার্স ব্যাংক জালিয়াতি ॥ চিশতীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ফারমার্স ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতারের পর রিমান্ডে থাকা ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ (বাবুল চিশতী) চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চিশতী ছাড়া বাকি তিনজন হলেন চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান। গত মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর চিশতীকে পাঁচ দিন, অপর তিনজনকে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার সকালেই রাজধানীর গুলশান থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনাটি গত বছর থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মাহবুবুল হক চিশতী, তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্য, ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। দুদকের তালিকায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নাম নেই। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনিয়ম তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তাঁরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির জনবল নিয়োগ হয়েছে মূলত এ দুজনের (মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী) সুপারিশেই। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাঁরা নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরসিএল প্লাস্টিকের সঙ্গে ব্যাংকের গ্রাহকদের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও বেরিয়ে আসে। ২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া ফারমার্স ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তাঁরা।
×