ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা সংস্কার ॥ দুইদিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: ২০:৩০, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

কোটা সংস্কার ॥ দুইদিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বর্তমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার আন্দোলনে দায়ের করা মামলা দুইদিনের মধ্যে প্রত্যাহার না হলে পুনরায় আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে উপাচার্যের বাসায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে বক্তব্য তুলে ধরেন যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর। এছাড়া বক্তব্য দেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হাসান। হাসান আল মামুন বলেন, আমি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি। আমার বাবা ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের একটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে আমার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলুন। নুরুল হক নূর বলেন, একটি কুচক্রী মহল আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ছাত্র সমাজের ক্ষোভের কথা বুঝতে পেরে দাবি মেনে নিয়েছেন তখন একটি মহল এটি বানচালের চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারী ও নেতাদের হযরানি করলে ছাত্র সমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আন্দোলনকারীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান নূর। রাশেদ খান বলেন, পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি ২০১২ সালে হল ছেড়েছি। অথচ আমি ভর্তির হয়েছি ২০১২-২০১৩ সালে। আর ক্লাস শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। তাহলে আমি কিভাবে ২০১২ সালে সূর্যসেন হলের ৫১২ নম্বর রুমে থাকি? এছাড়া প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল করা হয়েছে। আমার বিপক্ষে দেওয়া সব বক্তব্যই মিথ্যা আপনারা প্রমাণ দিন এসব তথ্যের। সংবাদ সম্মেলন থেকে কোটা আন্দোলনের একজন শিবিরের সক্রিয় কর্মী শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের জন্য বিকেল ৫টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় মঙ্গলবার থেকে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাজ পত্রিকাটি বর্জন করবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
×