ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ০০:৪০, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চলের থানারবাইদ গারো পল্লীতে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এক শিশু(১১) ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেও স্থানীয় মাতাব্বরদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারা ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারেনি। অবশেষে স্থানীয় একাধিক গারো তরুণদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধর্ষককে ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। এদিকে সোমবার ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হচ্ছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে। এছাড়া মধুপুর থানা পুলিশ ধর্ষককে আদালতে প্রেরণ করেছে। জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ বিভিন্ন গারো সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা মধুপুর থানায় এসে ধর্ষককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। পুলিশ ধর্ষককে হেফাজতে নিয়ে ধর্ষিতা শিশুর মায়ের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে। বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) এর কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য শ্যামল মানখিন, মধুপুর শাখার সভাপতি বিজয় হাজং, সাধারণ সম্পাদক মিলন দফো, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (জিএসএফ) মধুপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ নকরেক, সহ-সভাপতি ইভা মানখিন, সিমসাকবো আচিক মিচিক সংগঠন সভাপতি মুনমুন নকরেকসহ চিংআ যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, মধুপুর উপজেলার থানারবাইদ গ্রামের রূপেন মৃ এর ছেলে প্রশান রেমা(২৮) একই এলাকার বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ১১ বছরের তার নিজ শ্যালিকাকে গত ২ এপ্রিল ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ধর্ষক প্রশান রেমা শিশুকে কাউকে কিছু না বলার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনা গত দুইদিন আগে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকার মাতাব্বররা মীমাংসার কথা বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। এলাকার গারো তরুণ সংগঠণের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, স্থানীয় মাতাব্বররা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না করায় তারা নির্যাতিত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান। স্থানীয় মানবাধিকার ও বিভিন্ন গারো সংগঠনগুলো রবিবার রাতে ধর্ষক প্রশান রেমাকে ধরে মধুপুর থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ ধর্ষককে হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
×