ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ৩১ আসামীপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ

প্রকাশিত: ০১:৪০, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ৩১ আসামীপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার যুক্তিতর্ক পেশ করার ৬৭ তম দিন ছিল আজ। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৩১ আসামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।আজ আসামী শাহাদাৎ হোসেন জুয়েলের পক্ষে আইনজীবী আবদুর রশীদ মোল্লা আজ তৃতীয় দিনে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করেন। এরপর আসামী মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু করেন তার আইনজীবী মাঈনুদ্দিন মিয়া। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে কাল ১৭ ও পরদিন ১৮ এপ্রিল। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রধান কোঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিশেষ পিপি মো. আবু আব্দুলাহ ভূঞা, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, এডভোকেট ফারহানা রেজা, এডভোকেট মো. আমিনুর রহমান, এডভোকেট আবুল হাসনাত, আশরাফ হোসেন তিতাস প্রমুখ। অপরদিকে আসামিপক্ষে আবদুস সোবহান তরফদারসহ বিভিন্ন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামী ৫২ জন। মামলার আসামী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে।অন্য দিকে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক।বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২২ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী আইভি রহমান। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচন্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
×