ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা

অনলাইন ডেস্ক ॥ চার মাস আগে কাম্প নউয়ে গিয়ে বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছিল সেল্তা ভিগো। এবার তাদের মাঠে এসে দুবার এগিয়ে গিয়েও প্রতিশোধ নিতে পারল না এরনেস্তো ভালভেরদের দল। পুরো ম্যাচে দারুণ খেলে মূল্যবান ১ পয়েন্ট আদায় করে নবম স্থানে থেকে খেলতে নামা দলটি। মঙ্গলবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। ডিসেম্বরে বার্সেলোনার মাঠেও দুদলের লড়াইয়ের ফল ছিল একই। তিন দিন আগে স্পেনের শীর্ষ লিগে সর্বোচ্চ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিজেদের করে নেওয়া বার্সেলোনা এই নিয়ে টানা ৪০ ম্যাচ অপরাজিত রইলো। শেষ পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে তাদের। দলে ছিলেন না মাঝমাঠের তিন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সের্হিও বুসেকেতস ও ইভান রাকিতিচ। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেসকেও বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান ভালভেরদে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার; কিন্তু দলকে জয়সূচক গোল এনে দিতে পারেননি তিনি। নিয়মিত একাদশের অনেককে ছাড়া খেলতে নামা বার্সেলোনা ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। তবে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দেনিস সুয়ারেসের গোলমুখে বাড়ানো বল জালে ঠেলে দেওয়ার মতো কেউ ছিল না ওখানে। দুই মিনিট পর মাক্সি গোমেসের শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ২৫তম মিনিটে পাওলিনিয়োর হেড পোস্টে বাধা পায়। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে ব্রাইস মেন্দেসের বাঁকানো শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৩৪তম মিনিটে স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের আরেকটি জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকান জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগেন। ৩৬তম মিনিটে চমৎকার গোলে দলকে এগিয়ে দেন উসমান দেম্বেলে। ডান দিক থেকে পাকো আলকাসেরের বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি উঁচু শটে প্রথম লা লিগা গোলটি করেন গত অগাস্টে কাম্প নউয়ে যোগ দেওয়া ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৪৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফেরে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলা সেল্তা। মাঝমাঠের কাছে আন্দ্রে গোমেসের ভুলে বল পেয়ে ইয়াগো আসপাস সামনে বাড়ান মাক্সি গোমেসকে। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠে গোলমুখে ক্রস দেন তিনি। আর আলতো টোকায় বল ঠিকানায় পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জনি কাস্ত্রো। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জোসাবেদের কোনাকুনি শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় অতিথিরা। এর খানিক পরেই একসঙ্গে দুটি পরিবর্তন করেন ভালভেরদে; ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও আন্দ্রে গোমেসকে তুলে লিওনেল মেসি ও সের্হিও রবের্তোকে নামান। তাতে চিত্রপটেও আসে দ্রুত পরিবর্তন। এই অর্ধের শুরু থেকে একচেটিয়া আক্রমণ করে যাওয়া সেল্তা হঠাৎ করেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এরই মাঝে ৬৪তম মিনিটে নেলসন সেমেদোর পাস গোলমুখে পেয়ে দলকে ফের এগিয়ে দেন পাকো আলকাসের। ৭১তম মিনিটে বড় ধাক্কাটি খায় বার্সেলোনা। পাল্টা আক্রমণে বল পায়ে একা ডি-বক্সে ঢুকতে যাওয়া ইয়াগো আসপাসকে পিছন থেকে টেনে ধরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সের্হিও রবের্তো। প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগে আক্রমণ বাড়ানো সেল্তা ৮২তম মিনিটে ফের সমতায় ফেরে। বাঁ-দিক থেকে এমরে মোরের ক্রস টের স্টেগেন ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও ছুটে আসা আসপাসের গায়ে লেগে ভিতরে ঢুকে যায়। ৮৯তম মিনিটে আসপাসের দুর্দান্ত একটি পাস ডি-বক্সে পেয়েও আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুকাস বোয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা। ৩৩ ম্যাচে ২৫ জয় ও আট ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮৩। ১২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৭।
×