ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ এপ্রিল

প্রকাশিত: ০১:০৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ এপ্রিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্পর্শকাতর ও বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আসামীপক্ষে যুক্তিতর্কের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারন করা হয়েছে আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল। বুধবার আসামী পুলিশের সাবেক আইজিপি খোদা বকস চৌধুরীর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করেন তার আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এ আইনজীবী যুক্তিতর্কে তার মোয়াক্কেলকে নির্দোষ দাবী করে খালাসের আর্জি জানান। এরপর আসামী মাঈনুদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈনের পক্ষে তিনি নিজেই যুক্তিতর্ক পেশ শুরু করেন। এ যুক্তিতর্ক পেশ অসমাপ্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৩ আসামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়েছে। বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক পেশ করার ৬৯ তম দিন। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান, এ্যাডভোকেট আকরাম উদ্দিন শ্যামল, এ্যাডভোকেট মো: আমিনুর রহমান,এ্যাডভোকেট আবুল হাসান জিহাদ। এর আগে গত ১ জানুয়ারি মামলার আসামীদের আইন অনুযায়ি সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করা হয়। ২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামী ৫২ জন। মামলার আসামী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে। অন্যদিকে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক। বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২২ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমান। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান।
×