ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিএনজি মালিকরা করের আওতায় আসছে

প্রকাশিত: ২২:৩২, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

সিএনজি মালিকরা করের আওতায় আসছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার সিএনজি মালিকরা করের আওতায় আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহন বাণিজ্য করে আসলেও কর দেয় না সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিকরা। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স ও করের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কসপ মালিক সমিতি, ফোর স্ট্রোক সিএনজি অটোরিকশা অ্যান্ড ফ্রি হুইলার্স মটরবাইক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন এ আলোচনায় অংশ নেয়। সভায় ফোর স্ট্রোক সিএনজি চালিত অটোরিকশা অ্যান্ড থ্রি হুইলার্স মটরবাইক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আনসার আলী বলেন, সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। পাশাপাশি মালিকদের করের আওতায় আনা উচিৎ। একই সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে অ্যাপ ভিত্তিক সেবায় আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাধ্যতামূলক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়া ও সনদপত্র থাকতে হবে। ৩২ হাজার বেবি ট্যাক্সি ছিল, বর্তমানে ২০ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা আছে। ১২ হাজার লোকই বেকার। সংগঠনটির প্রস্তাবের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকা উচিৎ। অনেকেই বলছেন, বাস ট্রাককে কিভাবে আমরা করের আওতায় আনতে পারি। আগামী বাজেটে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স ও ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে। পরিবহন মালিক সমিতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে চলে গেছে। সবাই বলে এটা কমান, ওটা কমান। অনেককেই আবার আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। পরিবহন ব্যবসার পাশাপাশি অন্য একটা ব্যবসা দেখিয়ে যাতে কর ফাঁকি দেয়া না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পরিবহন খাতে যাতে কর বাড়ানো যায় তা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বসবো।
×