ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২০ এপ্রিল ২০১৮

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা

সমকালীন বিশ্বে শেখ হাসিনা এমন এক রাষ্ট্রনায়ক যিনি কেবল বাংলাদেশের তৃতীয় দফা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বেই নিয়োজিত নন, তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি টানা ৩৮ বছর ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তার নেতৃত্বেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন রূপায়ইে বাঙালী জাতির ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল নতুন অধ্যায় যুক্ত হতে চলেছে। শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বাল্যশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সাল থেকে তিনি ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে মোগলটুলির রজনীবোস লেনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ওঠেন। ১৯৫৬ সালে তিনি টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে গবর্নমেন্ট ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমানে বদরুননেসা সরকারী মহিলা কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। স্কুলজীবনেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৬২ সালে স্কুলের ছাত্রী হয়েও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজিমপুর গার্লস স্কুল থেকে তার নেতৃত্বে আইয়ুববিরোধী মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে কলেজ সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার রাজনৈতিক জীবনের পথচলা। শেখ হাসিনা ’৬৯-এর গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাত্রিতে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলেও তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। পরবর্তী ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় তাদের দুই বোনকে। শেখ রেহানার সে বছরই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের ঘটনাবলীর জন্য তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে শান্তিনিকেতনে তাঁর ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছিল। ১৯৮০ সালে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লীতে এসেছিলেন, অনুরোধ করেছিলেন তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ আর কোরবান আলীর সঙ্গে ঢাকা রওয়ানা হন। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে বিদেশ যাওয়ার সময় শেখ হাসিনার সব ছিল। ফিরলেন একাকী, বুকের ভেতর একরাশ হাহাকার নিয়ে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে আসা লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বুঝলেন, আগামী দিনে এই নিঃস্বার্থ লাখো মানুষই হবে তাঁর পথচলার অনুপ্রেরণা। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তাঁকে স্বাগত জানাতে সেদিন হাজির হয়েছিলেন ঢাকা বিমানবন্দরে। ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে তাঁর অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৭ মে শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছর পর যখন বাংলার মাটিতে পা দেন। লাখ লাখ মানুষ তেজগাঁও বিমানবন্দরে সমবেত হয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানায়। ১৯৮১ সালের ১২ জুন শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতায় আরোহণকে অবৈধ ঘোষণা করে এরশাদবিরোধী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৩ সালে তিনি ১৫ দলের একটি জোট গঠন করেন। তার নেতৃত্বে দেশজুড়ে সামরিক শাসক এরশাদবিরোধী দুর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠায় ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৩১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। চোখ বেঁধে তাকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনের পরেই দেশ থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার অভিযোগে ১৯৮৭ সালের ১১ নবেম্বর শেখ হাসিনাকে গৃহে অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিছিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ ও বিডিআর এলোপাতাড়ি নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা পায়। ১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর আন্দোলনের জোয়ার ঠেকাতে সারাদেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং শেখ হাসিনাকে ধানম-ির বাসায় গৃহবন্দী অবস্থায় রাখা হয়। ৪ ডিসেম্বর জরুরী অবস্থা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রবল গণ-আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা ১৯৮৪ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের কংগ্রেসে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালে ইয়াসির আরাফাতের আমন্ত্রণে তিউনেশিয়ায় ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (চখঙ) সদর দফতর সফর এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়ার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ১৯৮৭ সালে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশন ফর ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স নামে সংগঠনের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোয় অনুষ্ঠিত নারী নেত্রীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সপ্তম কংগ্রেসে তিনি ‘নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। একই বছর প্রাগে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম বৈঠকে বিশ্বশান্তি পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে সংগঠিত করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। গণআন্দোলনের মুখে ৩০ মার্চ তৎকালীন সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সূচিত হয় নতুন মাইলফলক। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল ভারতের সঙ্গে সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচী এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচী চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। মুঠোফোন (মোবাইল) প্রযুক্তির বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়া, বেসরকারী খাতে টেলিভিশন চ্যানেল অপারেট করার অনুমতি প্রদান, ‘শান্তিবাহিনী’ প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় উল্লেখযোগ্য। দেশের ক্রান্তিলগ্নে এবং অর্থনীতির ঘোর অন্ধকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র-দর্শন, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে ২০০৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলেন ‘দিনবদলের সনদ’, যাতে তিনি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলেন। ব্যাপক সাফল্যের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ শেখ হাসিনার সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সমর্থ হয়েছিল। এর পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে সরকার। সরকারের ৯ বছর মেয়াদকালে অর্থনীতির অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব অর্থনীতিতে অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে বিখ্যাত দি ইকোনমিস্ট পত্রিকা যে চারটি দেশকে বর্ষসেরা দেশ হিসেবে ঘোষণার জন্য বিবেচনা করেছিল তার মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশও ছিল। বিশ্বের খুব কম দেশই একটানা এত দীর্ঘ সময় ধরে ৬.৫ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। গবেষকদের মতে অচিরেই প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কর্মসৃজন, খাদ্য উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আমদানি ও রফতানি, দারিদ্র্য ও অসমতা হ্্রাসসহ আর্থসামাজিক খাতের প্রায় প্রতিটি সূচকেই বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। অগ্রগতি হয়েছে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। ১৬ হাজারের বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন সক্ষমতা, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন গঠন সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চের ৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্যারিসে অনুষ্ঠিত এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা সংস্থাটির ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ কমিটি কর্তৃক দু’বছর ধরে প্রামাণ্য দলিল যাচাই-বাছাই শেষে ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনারেলের সম্মতিক্রমে এটি সংস্থার নির্বাহী কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। চলবে... লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×