ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২০ এপ্রিল ২০১৮

ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার চেষ্টা

রহমি শখে ॥ বছরখানকে আগওে ব্যাংকে ছলি অলস টাকার পাহাড়। ঋণ দয়োর জন্য ব্যাংকগুলো ঘুরছেলি বনিয়িোগকারীদরে দ্বারে দ্বার।ে সুদহারও কময়িে আনা হয়ছেলি এক অঙ্ক।ে কন্তিু অনকেটা হঠাৎ করইে পাল্টে গছেে ব্যাংকংি খাতরে চত্রি। তীব্র তারল্য সঙ্কটে পড়ছেে অধকিাংশ ব্যাংক। বশিষে করে বসেরকারী খাতরে ব্যাংকগুলো। আর এই সঙ্কট মটোতে বাড়তি সুদ দয়িে আমানত সংগ্রহে প্রাণপণ চষ্টো চালয়িে যাচ্ছে অধকিাংশ ব্যাংক। এই সুযোগে ঋণরে সুদহারও এখন দুই অঙ্করে ঘর।ে হঠাৎ ঋণরে সুদহার বড়েে যাওয়ায় র্আথকিভাবে ক্ষতগ্রিস্ত ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় ব্যাংক ঋণরে সুদরে হার সঙ্গিলে ডজিটিে নাময়িে আনতে চাইছে সরকার। সম্প্রতি দুই দফায় ঋণরে সুদরে হার এক অঙ্কে নাময়িে আনার তাগদি দয়িছেনে প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা। ইতোমধ্যে সরকারী ব্যাংকগুলোকে নয়িে বঠৈক করছেনে বাংলাদশে ব্যাংকরে গর্বনর। নর্দিশেনা দয়িছেনে সুদহার কমানোর। এদকিে ব্যাংক ঋণরে সুদহার কমানোর জন্য আগামী সপ্তাহে বাংলাদশে ব্যাংকরে সঙ্গে বঠৈক করবে ব্যবসায়ীদরে র্শীষ সংগঠন এফবসিসিআিই। ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ঋণ বতিরণরে লাগাম টানতে সম্প্রতি প্রচলতি ধারার ব্যাংকরে ১০০ টাকা আমানতরে বপিরীতে সাড়ে ৮৩ টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ৮৯ টাকা করা হয়ছে;ে যা আগে ছলি ১০০ টাকার বপিরীতে যথাক্রমে ৮৫ ও ৯০ শতাংশ। ২০১৯ সালরে ৩১ র্মাচরে মধ্যে বাড়তি ঋণ নর্ধিারতি মাত্রায় নাময়িে আনার নর্দিশে দয়িছেে কন্দ্রেীয় ব্যাংক। বাংলাদশে ব্যাংকরে এই নর্দিশেরে কারণে ব্যাংকগুলো এখন আমানত বাড়য়িে এডআির সমন্বয়রে চষ্টো করছ।ে কোন কোন ব্যাংক নতুন ঋণ অনুমোদন কময়িে দয়িছে।ে আবার অনকে ব্যাংক ভোক্তাসহ কছিু খাতে ঋণ বতিরণ আপাতত বন্ধ রাখার সদ্ধিান্ত নয়িছে।ে অথচ গত বছরও ব্যাংকগুলোতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা অলস পড়ছেলি। সে সময় বনিয়িোগকারীদরে ঋণ দয়োর জন্য বভিন্নিভাবে অফার দয়িছেলি ব্যাংকগুলো। কন্দ্রেীয় ব্যাংকরে র্সবশষে তথ্য অনুযায়ী, ৫৭ বাণজ্যিকি ব্যাংকরে প্রত্যকেটরি সুদহার ১১ শতাংশরে উপর।ে সরকারী জনতা, বসেকি, কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে র্দীঘময়োদী ও স্বল্পময়োদী দুই ধরনরে ঋণইে সুদ ১৩ শতাংশ। সোনালী ও রূপালী ব্যাংক নচ্ছিে ১১ শতাংশ হার।ে আর অগ্রণী ও বডিবিএিল ব্যাংক সুদ নচ্ছিে ১১ থকেে ১২ শতাংশ হার।ে তবে শল্পি ঋণরে ক্ষত্রেে এই সুদ কোন কোন বসেরকারী ব্যাংকে ২০ শতাংশরে উপর।ে বসেরকারী ব্র্যাক ব্যাংকে এই সুদহার প্রায় ২২ শতাংশ। এছাড়া অধকিাংশ ব্যাংকে এসএমই খাতে সুদহার ১৫ থকেে ১৮ শতাংশ। আর র্দীঘময়োদী ও স্বল্পময়োদী ঋণে র্সবােচ্চ ১৬ থকেে ১৭ শতাংশ। প্রতবিদেনে বলা হয়, দুই অঙ্করে সুদে ঋণ দলিওে গড় হসিাবে (কাগজ-েকলম)ে কছিু ব্যাংকরে সুদহার এখনও দখোচ্ছে ৯ শতাংশ। গত ফব্রেুয়ারতিে ২২ ব্যাংকরে সুদহার গড়ে দুই অঙ্করে ঘরে পৌঁছছে।ে জানা গছে,ে সাধারণত ব্যাংকরে সুদহার কত হবে তা বাংলাদশে ব্যাংক বঁেধে দয়ে না। ব্যাংকগুলো নজিরোই তাদরে ঋণ ও আমানতরে সুদহার নর্ধিারণ করে থাক।ে এ বষিয়ে বাংলাদশে ব্যাংকরে নর্বিাহী পরচিালক ও মুখপাত্র দবোশসি চক্রর্বতী বলনে, সুদহার বাংলাদশে ব্যাংক নর্ধিারণ করে দয়ে না। ব্যাংকগুলো তাদরে মতো সুদহার নর্ধিারণ কর।ে তবে আমানত ও ঋণরে সুদহাররে ব্যবধানরে (স্প্রডে) বষিয়ে কন্দ্রেীয় ব্যাংকরে নর্দিশেনা রয়ছে।ে এটি পরপিালনে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়ছে।ে কন্দ্রেীয় ব্যাংকরে তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছররে ফব্রেুয়ারি শষেে গড় আমানতরে সুদহার দাঁড়য়িছেে ৫ দশমকি ১৮ শতাংশ, যা আগরে মাস জানুয়ারতিে ছলি ৫ দশমকি বশে।ি অন্যদকিে ফব্রেুয়ারতিে ঋণরে সুদহার দাঁড়য়িছেে ৯ দশমকি ৫৫ শতাংশ যা আগরে মাস জানুয়ারতিে ছলি ৯ দশমকি ৪২ শতাংশ। র্অথাৎ এক মাসরে ব্যবধানে ঋণরে সুদহার বড়েছেে দশমকি ১৩ শতাংশ। জানা গছে,ে ব্যাংকরে আমানত ও ঋণরে সুদহাররে ব্যবধান (স্প্রডে) ৫ শতাংশীয় পয়ন্টেরে নচিে রাখার নর্দিশেনা থাকলওে অনকে ব্যাংক ধারাবাহকিভাবে তা মানছে না। এদকিে ঋণরে সুদ বড়েে যাওয়ায় চরম বপিাকে পড়ছেনে উদ্যোক্তারা। তাদরে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছ।ে এখন ব্যবসায় টকিে থাকতে হলে পণ্যরে দাম বাড়াতে হব।ে কন্তিু পণ্যরে দাম বড়েে গলেে মুদ্রাস্ফীতি দখো দবে।ে এতে সামগ্রকিভাবে ক্ষতগ্রিস্ত হবে দশেরে র্অথনীত।ি তাই সময় থাকতইে যনে সুদহার কময়িে আনা হয়, সজেন্য বাংলাদশে ব্যাংকরে দ্বারস্থ হচ্ছনে ব্যবসায়ীরা। এ বষিয়ে জানতে চাইলে এফবসিসিআিইয়রে সভাপতি শফউিল ইসলাম মহউিদ্দনি জনকণ্ঠকে বলনে, ব্যাংক ঋণে সুদরে হার ডবল ডজিটিে অবস্থান করায় আমরা উদ্বগ্নি। র্অথনতৈকি প্রবৃদ্ধি ঠকি রাখতে নতুন বনিয়িোগরে কোন বকিল্প নইে। সাধারণত নতুন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদরে মূলধনরে যোগান প্রাথমকিভাবে ব্যাংকগুলোই দয়িে থাক।ে এদরে সুদরে হার বশেি হলে নতুনরা উদ্যোক্তা হসিবেে ব্যবসা শুরু করতে নরিুৎসাহতি হবনে। তনিি আরও বলনে, র্বতমানে ব্যাংকরে তারল্য সঙ্কটরে সুস্পষ্ট কারণ ব্যাংকগুলো দখোতে পারনে।ি ব্যাংকরে আমানতরে পরমিাণ কমার কারণে তারল্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়ছেে এটি গ্রহণযোগ্য অজুহাত নয়। ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনাগত র্দুবলতার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়ছেে বলে মনে করনে তনি।ি ব্যাংকরে এমডদিরে সংগঠন- এ্যাসোসয়িশেন অব ব্যাংর্কাস বাংলাদশেরে চয়োরম্যান (এববি)ি ও ঢাকা ব্যাংকরে ব্যবস্থাপনা পরচিালক সয়ৈদ মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলনে, প্রধানমন্ত্রী নর্দিশে দলিে ব্যাংকরে ঋণরে সুদহার কমাব। কন্তিু এর বরিূপ প্রভাবও মাথায় রাখতে হব।ে তনিি বলনে, কস্ট অব ফান্ড বড়েে গছে।ে এখন ঋণরে সুদহার কমালে ব্যাংক লোকসানে পড়ব।ে আর ব্যাংক লোকসানে পড়লে পুরো র্অথনীততিে তার নতেবিাচক প্রভাব পড়ব।ে জানা গছে,ে ব্যাংকগুলোতে চলমান তারল্য সঙ্কট নরিসনে নগদ জমা সংরক্ষণরে (সআিরআর) হার সাড়ে ৬ শতাংশ থকেে ১ শতাংশ কময়িে সাড়ে ৫ শতাংশ নর্ধিারণ করা হয়। সম্প্রতি এ বষিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদশে ব্যাংক। চলতি মাসরে ১৫ তারখি থকেে এটি র্কাযকর হয়ছে।ে এর ফলে বাংলাদশে ব্যাংকরে কাছে জমা রাখা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ফরেত পয়েছেে ব্যাংকগুলো। ফরেত পাওয়া র্অথ যনে বনিয়িোগে যায় এ জন্যই রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বসেকি ব্যাংকরে এমডদিরে ডকেে পাঠান গর্বনর ফজলে কবরি। ওই বঠৈকে সরকারী ব্যাংকগুলোতে ঋণরে সুদরে হার কময়িে আনার পরার্মশ দনে গর্বনর। এদকিে ঋণরে সুদহার কমানোর জন্য আগামী সপ্তাহে বাংলাদশে ব্যাংকরে সঙ্গে বঠৈক করবনে ব্যবসায়ীদরে র্শীষ সংগঠন এফবসিসিআিই। এর আগে সুদহার কময়িে আনার অনুরোধ জানয়িে বাংলাদশে ব্যাংককে একটি চঠিি দয়িছেে এফবসিসিআিই। গর্বনর বরাবর লখো ওই চঠিতিে বাংলাদশে ব্যাংকরে সঙ্গে বঠৈকে বসার অনুরোধ জানয়িছেে ব্যবসায়ীদরে এই র্শীষ সংগঠন। আর এজন্য চলতি মাসরে শুরুতে বঠৈকে বসারও সদ্ধিান্ত নয়ো হয়। কন্তিু কন্দ্রেীয় ব্যাংক থকেে সইে চঠিরি কোন জবাব না পাওয়ায় শষে র্পযন্ত বঠৈকে বসা হয়ন।ি এ বষিয়ে জানতে চাইলে এফবসিসিআিই সভাপতি শফউিল ইসলাম মহউিদ্দনি বলনে, অস্বাভাবকি হারে বাড়ছে সুদরে হার। তাই বাংলাদশে ব্যাংকরে সঙ্গে বঠৈক করা হব।ে যাতে দ্রুত ব্যাংকরে তারল্য সঙ্কট নরিসন করে সুদ কমানো হয়। সম্প্রতি গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা ব্যাংক মালকিদরে উদ্দশে করে বলছেনে, আপনারা তো ব্যাংকরে মালকি। আপনাদরে তো সুযোগ-সুবধিা আমরা দয়িে যাচ্ছ,ি আপনারা ব্যাংকরে সুদরে হার কমান। ব্যাংকরে সুদরে হার ১২ শতাংশ থকেে কময়িে এক ডজিটিরে মধ্যে আনুন। ওই অনুষ্ঠানে বসেরকারী ব্যাংকরে উদ্যোক্তা পরচিালকদরে সংগঠন বাংলাদশে এ্যাসোসয়িশেন অব ব্যাংকসরে (বএিব)ি নতো ও স্ট্যার্ন্ডাড ব্যাংকরে চয়োরম্যান কাজী আকরাম উদ্দনি আহমদেও উপস্থতি ছলিনে। তনিি বলনে, প্রধানমন্ত্রী ঋণরে সুদরে হার সঙ্গিলে ডজিটিে নাময়িে আনার নর্দিশে দয়িছেনে। আমরা এ ব্যাপারে অচরিইে কাজ শুরু করব; কভিাবে এ হার সঙ্গিলে ডজিটিে নাময়িে আনা যায়। তনিি বলনে, এখন কছিু ক্ষত্রেে ঋণরে সুদহার সঙ্গিলে ডজিটিইে রয়ছে।ে এর মধ্যে রফতানি ঋণরে সুদরে হার ৮ শতাংশ। এভাবে কছিু ক্ষত্রেে এ হার সঙ্গিলে ডজিটিে নাময়িে আনা যাব।ে আমরা ওই বষিয়ে কাজ শুরু করব।
×