ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিএইচওজিএমের ২৫তম সভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কমনওয়েলথ সংস্কার ॥ চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে চাই

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ২০ এপ্রিল ২০১৮

কমনওয়েলথ সংস্কার ॥ চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে চাই

উত্তম চক্রবর্তী, লন্ডন থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে কমনওয়েলথের ভূমিকা ও কার্যাবলী পুনর্গঠন ও পুনর্নির্ধারণসহ সংস্থাটির ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠিত সরকার প্রধানদের প্রথম এক্সিউটিভ কমিটির বৈঠকে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি গ্রুপ গঠনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই গ্রুপটি কমনওয়েলথ সচিবালয়ের ব্যাপক সংস্কারের বিষয়টি দেখভাল করবেন। সেশনগুলোতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কয়েকজন সরকার প্রধান রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। লন্ডনের বার্মিংহাম প্যালেসের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে স্থানীয় সময় দুপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া এ বৈঠকের বিষয় ছিল- ‘টুয়ার্ডস এ কমন ফিউচার, ইনক্লুডিং : এ ফেইরার ফিউচার’। সেশনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে, কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রেসিয়া স্কটল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ২৫ তম কমনওয়েলথ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে এ সম্মেলন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কমনওয়েলথ মহাসচিবের ঘোষিত ২০২০-২০২১ কৌশলগত পরিকল্পনার প্রশংসা করার পাশাপাশি ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডারও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ সচিবালয়ের উচিত কমনওয়েলথ ঘোষণায় কানেক্টিভিটি, সাইবার সিকিউরিটি ও গবর্ন্যান্স বিষয়ে প্রায়োগিক একটা এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা। কারণ নাজুক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল এ্যাকশন গ্রুপের ভূমিকা স্পর্শকাতর। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভালভাবে বুঝে সে অনুযায়ী এবং কমনওয়েলথের ঐক্যের চেতনাকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকতে হবে। আর সেটি হচ্ছে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি। তিনি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে সহায়ক ও সম্পৃক্ত হওয়াটাই সবচেয়ে ভাল উপায়। আর সদস্য দেশগুলো বাণিজ্য, অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়নের দিকে কমনওয়েলথ অধিক মনোযোগ দেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রশংসা ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কটে অসাধারণ নেতৃত্ব ও ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনের ল্যানক্যাস্টার হাউসে কমনয়েলথ দেশগুলোর সরকার প্রধানদের প্রথম এক্সিকিউটিভ বৈঠকে বক্তব্যে প্রদানকালে তিনি এ প্রশংসা করেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়েছেন, দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। কমনওয়েলথ নেতাদের উচিত তাঁকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সহযোগিতা করা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। ইহসানুল করিম আরও জানান, এক্সিকিউটিভ সেশনে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রেসিয়া স্কটল্যান্ডের প্রতিবেদন পেশের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে মুক্ত আলোচনার পর্বটি উদ্বোধন করেন। যেখানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুুডো রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
×